বাসার ছাদে করুন শাক সবজি চাষ।

প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২১

বাসার ছাদে করুন শাক সবজি চাষ।
booked.net

Manual7 Ad Code

কৃষি ডেস্কঃ- বাসার ছাদে পানি, পানীয় বা তেলের বোতল ও কন্টেইনার থেকে শুরু করে বাসার পরিত্যক্ত যেকোনো পাত্রেই ছোট-বড় সব ধরনের শাক-সবজি চাষ করা সম্ভব।

প্রথমে সবজি গাছের আকার বিবেচনায় রেখে পাত্র বাছাই করতে হবে এবং লাউ, কুমড়া, শিম, করলার মতো বড় সবজি গাছের জন্য অবশ্যই ড্রাম বা বালতির মতো বড় পাত্র নিতে হবে।

Manual5 Ad Code

এরপর পাত্রে সঠিক নিয়মে মাটি ভরাট করতে হবে। মাটির সঙ্গে অবশ্যই জৈব সার পরিমাণমতো মেশাতে হবে। আকার অনুযায়ী প্রতি পাত্রে দুই ভাগ মাটির সঙ্গে এক ভাগ গোবর-সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

গোবর-সার পাওয়া না গেলে পরিমাণমতো জৈব কম্পোস্ট-সার ব্যবহার করতে হবে।

আরো পড়ুন:টবে করুন সুস্বাদু ক্যাপসিকাম মরিচের চাষ।

Manual3 Ad Code

বাসার ছাদে শাক-সবজির জন্য সাধারণত কোনো রাসায়নিক সার যেমন ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি প্রভৃতি দেয়ার দরকার হয় না।

রাসায়নিক সার দিলে সেসব শাক-সবজির স্বাদ কমে যায় এবং নানান রোগসহ পোকার আক্রমণ বাড়ে।তবে বিশেষ প্রয়োজনে অল্প কিছু রাসায়নিক সারেরও দরকার হয়।

যেহেতু ছাদে বা বারান্দায় রাখা পাত্রগুলোর মাটি ওলট-পালট করা বা বারবার বদলানোর খুব একটা সুযোগ থাকে না, তাই প্রথমেই মাটির পরিমাণ কম দিয়ে জৈবসারের পরিমাণ বেশি করে দেয়া ভালো।

ছাদে শাক-সবজি চাষের একটি প্রধান সমস্যা হলো পাত্রের মাটি শুকিয়ে যাওয়া। শাক-সবজির গাছ মোটেই পানির অভাব সইতে পারে না।

পানির ঘাটতি হলেই দ্রুত ঢলে পড়ে। তাই শাক-সবজির পাত্রগুলো ছাদে পানির উৎসের কাছাকাছি রাখতে হবে, যাতে ঘন ঘন পানি দেয়া সহজ হয়।

Manual8 Ad Code

আবার টবে যাতে অতিরিক্ত পানি না জমে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

আরো পড়ুন:লেবু চাষ করুন ফ্ল্যাটবাড়ির বেলকনিতে।

সকাল ও দুপুরের রোদ পায় এমন স্থানে টব রাখা ভালো, তবে দুপুরের রোদ বেশি প্রখর হলে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। লতানো সবজি গাছের জন্য বাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।

খুঁটি বা মাচার ব্যবস্থা অথবা রেলিং বা গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে দিলে অনেক সবজি গাছ সোজা থাকে ও দ্রুত বাড়ে। গাছ বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় অল্প অল্প করে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে পাত্রে বেশি করে জৈব সার দেয়া যেতে পারে।

রোগ ও পোকামাকড় দমনের বালাইনাশক ছিটাতে ছোট হ্যান্ডস্প্রেয়ার সংগ্রহে রাখতে পারেন। তবে রাসায়নিক বালাইনাশকের বদলে তামাকের গুলের পানি, সাবানের পানি, নিমপাতার রস অথবা জৈব বালাইনাশকও স্প্রে করতে পারেন।

পোকা দেখলে প্রথমে হাতের সাহায্যে মেরে ফেলবেন, রোগাক্রান্ত পাতা বা গাছ তুলে ধ্বংস করবেন।

কুমড়াজাতীয় সবজি যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া, কাঁকরোল, পটল প্রভৃতি সবজির ক্ষেত্রে হাত দ্বারা পরাগায়নের ব্যবস্থা করবেন।

একই সময়ে ফোটা পুরুষ-ফুল ছিঁড়ে স্ত্রী-ফুলের গর্ভমুন্ডের মাথায় ছোঁয়ালে ফল ভালো হয়। টবে গাছের সংখ্যা বেশি হলে পাতলা করে দেবেন।

Manual5 Ad Code

গাছের পাতা বা ডগার সংখ্যা বেশি হলে অথবা ফুল বা ফল বেশি ধরলে পাতলা করে দেয়া ভালো। খৈল পানিতে চারা পাঁচ দিন ভিজিয়ে রেখে পানিটুকু গাছের গোড়ায় দিলে সবজির ফলন ভালো হয়।

তবে এতে পিঁপড়ের উপদ্রব বাড়তে পারে, তাই সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া কিছু ছাই ও হাড়ের গুঁড়োও মাটিতে মেশানো যেতে পারে, তাতে পটাশ ও ফসফেটের জোগান পাওয়া যায়। আর গাছের ফল তোলার উপযোগী হলেই তুলে ফেলা উত্তম।

Ad

Follow for More!