প্রকাশিত: ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১
নারীদের প্রজননক্ষম বয়সে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি যে টিউমার হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা মায়োমা। জরায়ুর পেশীর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এ টিউমারের সৃষ্টি হয়।
৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে ২০ শতাংশই এই সমস্যায় আক্রান্ত। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যানসার বা বিপজ্জনক কিছু নয়। তবে দুটো সমস্যার কারণে সুচিকিৎসা দরকার। এক. এর ফলে অতিরিক্ত মাসিক ও ব্যথা হওয়া এবং তার জন্য রক্তশূন্যতা হতে পারে। দুই. এটিকে বন্ধ্যাত্বের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ টিউমার কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড করতে গেলে এটি ধরা পড়ে। টিউমারটির কারণে তলপেটে ব্যথা হয়। এটি আকৃতিতে অনেক বড় হলে অবশ্যই চিকিৎসা প্রয়োজন। সাধারণত ওষুধে চিকিৎসার সুযোগ কম। এরপর আমরা একটি ওষুধ ব্যবহার করি। তবে অবশ্যই রোগীকে আমাদের কাছে আসতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেখতে হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে এগুলো একা একাই জরায়ুর সাথে মিশে যায়।
নরমাল ডেলিভারির পর জরায়ু আগের অবস্থানে আসে কি না— একজন জানতে চেয়েছেন। প্রেগনেন্সিতে নারীদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়। শরীরের সব অঙ্গপ্রতঙ্গে প্রভাব পড়ে। সন্তান প্রসবের পর ধীরে ধীরে জরায়ু জায়গায় ফিরে আসে। কারণ শিশু হওয়ার জন্য জরায়ুমুখ খুলতে হয়। তারপর একটি সময়ে সন্তান প্রসব হবে। এরপর ধীরে ধীরে এটি বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সময় প্রসবের সময় জরায়ুমুখে ফ্যাকচারড হয় এবং থেকে যায়। তবে এতে অন্য কোনো অসুবিধা হবে না।
১৪ কিংবা ৪০ দিনের মাথায় পিরিয়ড হওয়া মানে এটি অনিয়মিত। নববিবাহিতরা অনিয়মিত কিংবা ইমারজেন্মি পিল খেলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। তবে সবার আগে জানতে হবে যে কন্ট্রাসেপশন নিচ্ছে, সেটি ঠিকমতো নেওয়া হচ্ছে কি না। নিয়মিত পিল খেতে হবে।
২১, ২৪ ও ২৮ দিনের পিল আছে। সে অনুযায়ী পিল নিতে হবে। যদি গাইনোকোলজিক্যাল ক্যানসার হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার (অপারেশন) জন্য গাইনিকোলজিস্টের কাছে যেতে হবে।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us