নিদ্রাহীনতায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মানুষ।

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২২

নিদ্রাহীনতায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মানুষ।
booked.net

অনলাইন ডেস্কঃ- নিদ্রাহীনতার ফলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্হ্যঝুঁকিতে রয়েছে। তবে ভালো ঘুম না হওয়ার প্রবণতা একটি গুরুত্বর রোগ। এটিকে অবহেলা করা উচিত নয়। সুনিদ্রা মানুষের দেহ ও মন সুস্হ রাখে এবং পরিমিত ঘুম নানা রোগের ঝুঁকি কমায়।

শরীর সুস্হ রাখতে দৈনিক কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি  রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশ্ব নিদ্রা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। সুস্হতার জন্য সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা এবং নিদ্রাহীনতার চিকিৎসা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোই এই দিবসের ছিলো  মূল লক্ষ্য। সেই উপলক্ষ্যে একটি কন্টিনিউইং মেডিক্যাল এডুকেশন (সিএমই) আয়োজন করা হয়।

সিএমইতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা ও নিদ্রাহীনতা বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্হাপন করেন এভারকেয়ার হসপিটালের রিস্পেরিটরি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ডা. জিয়াউল হক। এভারকেয়ার মেডিক্যাল সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদসহ অন্য বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট, চিকিত্সকরা সিএমইতে অংশগ্রহণ করেন।

ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুনিদ্রা মানুষের দেহ ও মন দুই কেই সতেজ-সুস্হ রাখে। ভালো ঘুম হলে দেহের মেটাবলিক ও হরমোনাল অ্যাক্টিভিটি এবং মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত হয়। ফলে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে শান্তি-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় ও কর্মক্ষেত্রেও পারফরম্যান্স ভালো হয়।

ডা. জিয়াউল হক বলেন, ঘুম মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ শরীরতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। পরিমিত ঘুম হূদ্রোগসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমায়। শরীর সুস্হ রাখতে দৈনিক কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে ঘুম আর ভালো ঘুমের মধ্যেও রয়েছে পার্থক্য। ভালো ঘুম না হওয়ার প্রবণতা একটি গুরুতর রোগ। এটিকে কখনো অবহেলা করা উচিত নয় এবং প্রয়োজনে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে। নিদ্রাহীনতার ফলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্হ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

Ad