কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাব। ।

প্রকাশিত: ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৩

কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাব। ।
booked.net

Manual8 Ad Code

 

নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ- কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপ-ব্যবহার, ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ এবং সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।

Manual2 Ad Code

এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বুধবার (৪ জানুয়ারী) জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের কাছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই ১০ ইউপি সদস্য। যার অনুলিপি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার বিভাগ মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।

Manual7 Ad Code

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সদস্যরা হলেন- ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য দিদারুল আলম দিদার, ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল কাদির, ৩ নং ওয়ার্ডের সিলভেস্টার পাঠাং, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুল হক হারুন, ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য হেলাল আহমদ, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ দরছ মিয়া, ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য লক্ষ্মী নারায়ন অলমিক। সংরক্ষিত ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহমুদা আক্তার, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য রায়না বেগম ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য নাজমিন নাহার দিলারা।

ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা নির্বাচনের সময় জনগণের কাছে ওয়াদা করেছিলাম আমাদের সাধ্যনুযায়ী এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো। কিন্তু বর্তমান স্বেচ্ছাচারী চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাঁর আসল চেহারা প্রকাশ হতে থাকে। জন্মনিবন্ধনের অর্থ তাঁর নিজস্ব লোক দিয়ে আদায় করে থাকেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত দুই লাখ ৮৯ হাজার টাকা আদায় করা হয়। তাছাড়া ইউনিয়নে কোন বরাদ্দ আসলে চেয়ারম্যান আমাদের সাথে কোন আলোচনা কিংবা রেজুলেশন না করে নিজের ইচ্ছামাফিক কাজ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, চেয়ারম্যান আজাদ গৃহ করের প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকার সিংহভাগ তিনি আত্মসাৎ করেন। ভূমি উন্নয়ন কর ১ শতাংশের প্রথম কিস্তিতে ২ লাখ ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩ লাখ সহ মোট ৫ লাখ টাকা তিনি গ্রহণ করে ভূয়া প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সহায়তা তহবিলের কাজ নিজের পছন্দের লোককে ঠিকাদার বানিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন।এমনকি এলজিএসপি বরাদ্দকৃত অর্থ সদস্যদের নামে ভূয়া মাস্টার রোল বানিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

Manual6 Ad Code

কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান আজাদ জানান, অভিযোগের বিষয় আমি শুনেছি। মেম্বারদের আনীত অভিযোগ গুলো সঠিক নয়। তবে মেম্বারদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। মেম্বাররা বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিভিন্ন কারণে তবে এতে উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। মেম্বারদের শতভাগ দাবিদাওয়া পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব’ও নয়। কারণ একটা প্রকল্প পেলে সে ব্যাপারে সরকারের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়। ইউনিয়নের প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের রেজুলেশন ও মাস্টার রোল আছে।

Manual6 Ad Code

এ ব্যাপারে মৌলাভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, অনাস্থা প্রস্তাবের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ছবিঃ- কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান আজাদ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad

Follow for More!