নির্বাহী প্রকৌশলী সহ তিন কর্মকর্তার দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য। দুর্ভোগে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

প্রকাশিত: ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, মে ১১, ২০২২

নির্বাহী প্রকৌশলী সহ তিন কর্মকর্তার দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য। দুর্ভোগে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
booked.net

আব্দুল কুদ্দুসঃ- কারণে অকারণে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীনতা। ভৌতিক বিল দিয়ে গ্রাহক হয়রানি। গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। নির্বাহী প্রকৌশলী সহ তিন জন বড় কর্মকর্তার দুর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্য। সংশ্লিষ্টদের উপর এমন নানা গুরুতর অভিযোগ কুলাউড়া (বিপিডিবি)’র বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের আওতাধীন (বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার) উপকারভোগী গ্রাহকদের। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়ে রেজুলেশনও হচ্ছে। বিভিন্ন হাটবাজারে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল সহ নানা কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণে আল্টিমেটামও দিয়েছেন দুর্ভোগগ্রস্ত গ্রাহকরা। কিন্তু তারপরও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্টদের। গ্রাহকরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এ সময়ে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে কোনো ঘাটতি নেই। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বির্পযয়ও নেই। তারপরও ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম দুর্ভোগে সেবাগ্রহীতা। ইতিমধ্যে দুর্ভোগগ্রস্ত বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা এমন দুরবস্থা নিরসণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ,জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের।

ঈদের আগে একটানা প্রায় তিনদিন বিদ্যুৎহীন ছিল পুরো ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন। ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে আসন্ন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী সহ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চরম ব্যাঘাত সৃৃষ্টি হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ কর্মকর্তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আঁতাত করে নিন্মমানের খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় ও বাৎসরিক মেরামতজনিত খরচ বাবদ বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রাকদের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দুর্ভোগে ফেলছেন। তাছাড়া পুড়ে যাওয়া মিটার ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন লাইনে মিটার সংযোগ দেখিয়ে ভুতুড়ে বিলও দিচ্ছেন। এমন বিলে গ্রাহক বিব্রত হলে মিটার রিডার ও লাইনম্যানদের মাধ্যমে রফাদফা করা হয়। উৎকোচ দিলেই সব সমস্যার সমাধান। ব্যত্যয় হলে মামলার ভয়ভীতি ও মামলা দিয়েও করা হয় হয়রানি।

মিটার সংযোগের ফি নিয়ে দীর্ঘদিন পরও মিটার না দিয়ে মাস শেষে কাগজের বিলের পরিবর্তে মিটার রিডারদের মাধ্যমে নগদ টাকা তোলা হচ্ছে। এসব বিষয়ে কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওসমান গণী বলেন, গ্রাহকদের আনীত সব অভিযোগ সঠিক নয়।  বৈরী আবহাওয়ায় কম লোকবল নিয়ে লাইন মেরামত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, শিগগিরই উত্তর কুলাউড়ায় আরও একটি ৩৩/১১ হাজার কেবির সাবস্টেশন নির্মাণ হচ্ছে। এটা হলে এই দুর্ভোগ থাকবে না।

ছবিঃ- ইন্টারনেট।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad