দাম্পত্য জীবনে সুখের মন্ত্র।

প্রকাশিত: ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২২

দাম্পত্য জীবনে সুখের মন্ত্র।
booked.net

বিবাহিত জীবনে যাতে সারাজীবন সুখের হয়, সে আশা সবার মধ্যেই থাকে। আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসায় দাম্পত্যে আনে সুখ। বিয়ের পর সঙ্গীকে ভালোবাসার কথা যত বেশি বলবেন, দাম্পত্যজীবনে তত বেশি সুখে থাকবেন। তাছাড়া স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চান একে অপরকে মানিয়ে চলতে। তারপর’ও অনেক দাম্পত্যেই সুখ থাকে না। মাঝেমধ্যে ঝগড়া, অশান্তি হতে পারে। কিন্তু সম্পর্ক একসময় তলানিতে এসে ঠেকলে সেখানে আর আশা, ভালোবাসা থাকে না। তখন হাত থেকে হাত সরে যায় একে অন্যের। এমনটার পেছনে অনেক কারণ থাকে। বিবাহিত জীবন যাতে সুখের হয়, সেজন্য কয়েকটি দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আসুন, জেনে নেই বিশেষ কিছু টিপসঃ-

কখনও কখনও দুজনে বেরিয়ে পড়ুনঃ- সংসার, কর্মক্ষেত্র নিয়ে ব্যস্ততা থাকবেই। এর মধ্যে পরিবারের দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করে নিতে হবে। একে অপরের জন্য সময় বের করতে হবে। দুজনে মিলে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করুন। দেখুন, আপনার বাবা-মা, ভাইবোন, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতেই পারেন। তবে কখনও কখনও শুধু দুজনে ঘুরতে যাওয়া উচিত। দুজনে মিলে ঘুরে আসুন। এতে বিবাহিত জীবন অনেক সহজ হবে। ভালোবাসার সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য একে অপরের জন্য সময় দেওয়া খুবই প্রয়োজন।

একে অপরকে নিয়ন্ত্রণ করবেন নাঃ- বিয়ের প্রথম দিকে সম্পর্ক একরকম থাকে। তখন সঙ্গীর অনেক খারাপ দিকই আমরা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বিষয়গুলোও প্রকট হতে থাকে। কোনো মানুষই পছন্দ করেন না, তাকে অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করুক। কারণ, প্রত্যেক পুরুষ ও নারীর নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। আপনি সঙ্গীকে গাইড করে দিতে পারেন, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করবেন না। তা আপনাদের সম্পর্ক আরও জটিল করবে, সহজ কিন্তু করবে না।

অতিরিক্ত অধিকার নয়ঃ- প্রত্যেক দাম্পত্যেই একে অপরের প্রতি মানসিক ভাবে নির্ভরশীল হয়। খানিকটা হলেও পজেসিভ হয়। আর সেই বিষয়টি অন্য সঙ্গী উপভোগও করেন। তবে এ ধরনের পজেসিভনেস একটা সীমা পর্যন্তই ভালো লাগে। তাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবেন না যে, আপনার সঙ্গীর দমবন্ধ হয়ে আসে। পজেসিভনেস আপনাদের সম্পর্কে সমস্যা বাড়াবে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস কমতে শুরু করবে।

যৌনজীবনঃ-বিবাহিত জীবনে দুজনের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও কিন্তু একান্তই প্রয়োজন। কর্মজীবনের চাপে যেন কোনোভাবেই আপনার ব্যক্তিগত জীবন প্রভাবিত না হয়। একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটান। দাম্পত্যে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ভীষণ ভীষণ প্রয়োজন।

বেশি বেশি প্রত্যাশা করবেন নাঃ- সিনেমা বা নাটক দেখে, গল্প-উপন্যাস পড়ে বিবাহিত জীবন নিয়ে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সেই প্রত্যাশার বেশিরভাগই অবাস্তব। মনে রাখবেন, আপনারা দুজনে ফাঁকা ক্যানভাসে আঁকা শুরু করেছেন। আকাশ ছোঁয়া প্রত্যাশা আপনাদের সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। যে কারও দমবন্ধ হয়ে আসতে পারে। অবাস্তব প্রত্যাশাকে এবার বাদ দিন। ততটাই আশা করুন, যা আপনার পার্টনারের ওপর কোনোভাবেই চাপ তৈরি করবে না। এটা না মানলে আপনাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি শুধুই বাড়তে থাকবে। সংসারে আসবে অশান্তি। কারণ, বিয়েটা ঠিক সিনেমাটিক লাভ স্টোরি নয়।

ছবিঃ- ইন্টারনেট।

Ad