ভূকশিমইল ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

ভূকশিমইল ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।
booked.net

Manual5 Ad Code

নিজস্ব প্রতিনিধি:- কুলাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গভীর নলকূপ দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্যের নাম ফজলু মিয়া। তিনি উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দুই পরিবার গত রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা হলেন- ভূকশিমইল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাদিপুর গ্রামের মৃত সোহাগ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমা বেগম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া ওই দুই ভুক্তভোগীর নিকট থেকে গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে কয়েকধাপে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

Manual5 Ad Code

ভুক্তভোগী সামসুন নাহার ও সুমা বেগম বলেন, পানির সমস্যা থাকায় বিভিন্ন জায়গায় নলকূপের জন্য আবেদন করেও পাইনি। পরে ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া সরকারি নলকূপ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৭/৮ মাস আগে পৃথকভাবে আমাদের কাছ থেকে কয়েকধাপে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু দিচ্ছেন, দিবেন বলে কোন নলকূপ দেননি। একপর্যায়ে ৪শ’ ফুট পাইপ দেন এবং স্থাপনের কিছু কাজ করান। তিনি নলকূপের অন্যান্য মালামাল দেননি এমন’কি তার সাথে যোগাযোগ করলে অন্যান্য মালামাল আমাদের’কে ক্রয় করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এমতাবস্থায় আমরা পানির পাম্প, ট্যাংকি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে নলকূপের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করেছি।

শামসুন নাহার বলেন, তিনি একজন বিধবা মহিলা। তার পরিবারে কোন পুরুষ লোক নেই। পানির সমস্যা থাকায় মেম্বারের কথামতো ৬০ হাজার টাকা তার হাতে দিয়েছেন। তা-ও আবার ঋন করে দেন। কিন্তু নলকূপের অন্যান্য মালামালও দেননি ওই ইউপি সদস্য। নলকূপ বাবত ৬০ হাজার টাকাও আর এখন নেই।

Manual4 Ad Code

একই অভিযোগ সুমা বেগমের। তিনি জানান, তার স্বামী মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। তার নিকট থেকেও একইভাবে ওই মেম্বার তিন ধাপে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন। পরে তাকেও নলকূপের পাম্প, ট্যাংকি ও অন্যান্য মালামাল ক্রয় করতে হয়েছে।

অভিযুক্ত মেম্বার ফজলু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি শামসুন নাহারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু সরকারি নলকূপ বাবত ৬০ হাজার টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এমনকি তার বিরুদ্ধে নিউজ করার ইচ্ছে থাকলে তার পরামর্শও দেন তিনি।

Manual8 Ad Code

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, এরকম অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Manual1 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad

Follow for More!