কুলাউড়ায় দাখিল পরীক্ষা শুরুর ২৩ মিনিট পর প্রশ্নপত্র বিতরণ!

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২১

কুলাউড়ায় দাখিল পরীক্ষা শুরুর ২৩ মিনিট পর প্রশ্নপত্র বিতরণ!
booked.net

স্বপন কুমার দেব রতনঃ- কুলাউড়ায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রথমদিনে প্রশ্নপত্র ২৩ মিনিট বিলম্বে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মনসুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এই উপজেলার শ্রীপুর জালালীয়া মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার ১৫ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়,রোববার ১৪ নভেম্বর দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র মনসুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৩নং কক্ষে পরীক্ষা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দাখিল কোরআন মাজিদ পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষা শুরুর সময় সকাল দশটার দিকে এমসিকিউ প্রশ্ন দেয়া হয়। পনেরো মিনিট পরে আবার সেটি নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে লিখিত পরীক্ষার খাতা দেওয়া হলেও প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়নি। ২৩ মিনিট পর প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। সেসময় কর্তৃপক্ষ তাদের সময় বাড়িয়ে দেয়ার কথা দেন। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে আবার উত্তরপত্রগুলো নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এ সময় পরীক্ষার্থীরা বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে আরো কিছু সময় চাইলে তাদের সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. সাকিবুল হাসান, আবু বকর, রিয়াজুল ইসলাম, তরিকুল ইসলামসহ একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, মনসুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৩নং কক্ষে আমরা দুই মাদ্রাসার ৩৮জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। নির্ধারিত সময়ের ২৩ মিনিট পরে প্রশ্নপত্র দেয়ার কারণ জানতে চাইলে হল সুপারসহ কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দেন বিলম্ব সময় কাভার করে দেয়া হবে। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে আমাদের খাতাগুলো তুলে নেন হলের দায়িত্বরত শিক্ষকরা।

বিলম্বের কারণে পরীক্ষা পাশের উত্তর লিখতে পারিনি আমরা। তখন কেন্দ্র সচিব এ এইচ এম বজলুল রহমানের কাছে গিয়ে আমরা অনেক অনুরোধ করলেও তিনি কোন সুরাহা দিতে পারেননি। ফলে আমরা আমাদের ফলাফল বিপর্যের আশঙ্কায় পড়েছি। বিষয়টি আমাদের মাদ্রাসার সুপারসহ সবাইকে তাৎক্ষণিক অবগত করেছি। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব এ এইচ এম বজলুল রহমানের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল সরেজমিন ওই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবো। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ হলরুমে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবের সাথে কথা বলবো। তদন্তে যদি দায়িত্বরত শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Ad