প্রতিপক্ষ যখন রাশিয়া..

প্রকাশিত: ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২

প্রতিপক্ষ যখন রাশিয়া..
booked.net

ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে অনেক প্রতিযোগিতা দেখা যায়, বিশেষ করে আমেরিকা- অস্ত্র, সৈন্য আর অনুদান দিয়ে বছরের-পর-বছর ইসরাইলকে সাহায্য করে আসছে। দিনের-পর-দিন ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষ বিশেষ করে শিশু আর নারীদের উপর যে বর্বরতা চালানো হয়েছে তা ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে পুরো বিশ্ব মনে রাখবে। কিন্তু এখন দৃশ্যপট পাল্টে গেছে, প্রতিপক্ষ যখন রাশিয়া তখন সবার হালুয়া টাইট অবস্থা।

কাহিনিটা একটু এইরকম যে, অমুক ভাই আসছে রাজপথ কাঁপছে…অমুক ভাই ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই.……কিছুক্ষণ পর পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ বা টিয়ারশেল এর অট্টহাসিতে মুহূর্তেই রাজপথ ধুঁ-ধুঁ ফাকা প্রান্তরে পরিণত হয়ে যায়। ঠিক তেমনি প্রতিপক্ষ যখন রাশিয়া তখন বিশ্ব মোড়লরা ধরি মাছ না ছুঁই পানি ফর্মুলায় চলে যান। মানবতা, আগ্রাসনবাদ বা জঙ্গিবাদের অজুহাত আর কাজে আসে না। তখন ঠিকই বুঝতে পারেন যে মাটিতে দাঁড়িয়ে সূর্যকে ঢিল মারতে নেই। শুদ্ধ বাংলায় যাকে বলে ব্যাটাগিরি সবার সাথে চলে না।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন ঘন্টায় ঘন্টায় ফেসবুক লাইভে বা ইউটিউবে এসে বলতেছেন আমরা ন্যাটো এবং আমেরিকা থেকে তেমন কোনো সহায়তা পাচ্ছিনা। অথচ সেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টই গত বৎসর যখন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এ হামলা চালিয়েছিল তার পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন এবং তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন। ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে সেই ১১ দিনের বর্বর হামলায় প্রায় ৩১৩ জন মানুষ প্রাণ হারায় তার মধ্যে ৭১ জনই ছিল শিশু। আফসোস সময়ের বিবর্তনে আজ তিনি কতটা অসহায় আর পুরো বিশ্ব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।

একজন মুসলিম হিসেবে আমরা অবশ্যই ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদেরকে হেফাজত করেন আর ঠিক তেমনি সেইখান থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নেওয়া উচিত, আজকে যে অন্যায়কে আপনি প্রশ্রয় দিবেন কালকে সেই অন্যায় যে আপনার সাথে হবেনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

প্রসঙ্গত: কোন প্রকার যুদ্ধকেই আমরা সাপোর্ট করি না, যুদ্ধের ভুক্তভোগী সবসময়ই জনগণ আর সুবিধাভোগী হচ্ছে তথাকথিত রাজনীতিবিদ।

লেখকঃ- হাবিবুর রহমান চৌধুরী নওশাদ। ব্যাচ’৯৭, কুলাউড়া।

Ad