কুলাউড়া ইউএনও’র মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের বৈঠকে সমাজচ্যুত ঘটনার নিষ্পত্তি।

প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২

কুলাউড়া ইউএনও’র মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের বৈঠকে সমাজচ্যুত ঘটনার নিষ্পত্তি।
booked.net

 

আব্দুল কুদ্দুসঃ- কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে প্রবাসী শিক্ষার্থী পরিবারকে সমাজচ্যুত করার বিষয়টি ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতেই (১ ফেব্রুয়ারি) এক বৈঠকে নিষ্পত্তি হয়েছে। কুলাউড়া ইউএনও’র উদ্যোগে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয় বলে জানান ইউএনও। নিষ্পত্তিতে উভয়পক্ষ খুশি হয়েছেন বলেও তিনি জানান।

ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ একে এম নজরুল ইসলাম, সমাজচ্যুতির অভিযোগ তোলা ঝর্ণা চৌধুরীর বাবা আব্দুল হাই চৌধুরী এবং কৃষ্ণপুর গ্রামের মসজিদ কমিটির সভাপতি মাখন মিয়া ও সম্পাদক আমিন মিয়া। বৈঠক শেষে ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, তারা বয়স্ক মানুষ, তাই ইন্টারনেট চালাতে পারেন না।

তাছাড়া এলাকায় রটে যায় যে ঝর্ণা একটি হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছে। তাই তার বাবাকে তারা (মসজিদের সভাপতি ও সম্পাদক) ডাকেন। কিন্তু উনি না আসায় তারা ‘উনি উনার মতো চলুক, আমরা আমাদের মতো চলবো।’ এমন সিদ্ধান্ত নেন। এখানে কোন সামাজ চ্যুতির ঘটনা ঘটেনি।

ইউএনও আরও জানান, আজ তারা ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঝর্ণার বাবার কাছে। সেই সঙ্গে মুচলেকা দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে আর এমন কিছু করবেন না। ঝর্ণার পরিবারও খুশি হয়েছে, তারাও লিখিত দিয়েছেন যে তারা এখন খুশি।

উল্লেখ্য, ভাটেরার কৃষ্ণপুর গ্রামের ঝর্ণা চৌধুরী উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি জমান গত ২৬ ডিসেম্বর। ঝর্ণা অভিযোগ করেন, তাকে বিদেশ পাঠানোয় দেশে তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করেছে স্থানীয় মসজিদ কমিটি। এনিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ঝর্ণার বাবা আব্দুল হাই চৌধুরী। ঘটনাটি ইউএনও’র নজরে আসলে নিজ উদ্যোগেই দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার নিষ্পত্তি করেন। 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad