প্রকাশিত: ৯:০১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
ডেস্কঃ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া বান্ডিলে জাল নোট দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংক। এছাড়া যে পরিমাণ নোটের কথা বলা হচ্ছে, গুণে পাওয়া যাচ্ছে তার কম। আবার উচ্চ মূল্যমানের নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট বা ছেড়া নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে পুন:প্রচলন নোট হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্যান্ডিং করার পর সংশ্নিষ্ট শাখার নাম, সীল, নোট গণনা কারীর স্বাক্ষর ও তারিখ সম্বলিত লেবেল বা ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিধান রয়েছে। তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে- এ নির্দেশনা লংঘন করে সরাসরি টাকার ওপর সংখ্যা ও তারিখ লেখা, শাখার সিল, স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর ও স্ট্যাপলিং করা হচ্ছে।এতে করে তুলনামূলক কম সময়ে নোটগুলো অপ্রচলন যোগ্য হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। এধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিন নোট নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।’
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে আবশ্যিকভাবে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট থাকার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রচলনের অযোগ্য নোট পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অন্য অনিয়মও পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্যাকেটে সঠিক সংখ্যার চেয়ে কম নোট, উচ্চ মূল্যমান নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট থাকছে। আবার উচ্চমূল্যের ভিন্ন ভিন্ন সিরিয়ালের দুটি নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে পুনঃপ্রচলন যোগ্য নোটের প্যাকেটে রাখা হচ্ছে। পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে জাল নোটও থাকছে।’
এতে বলা হয়, গণনার সময় নোটের ওপর লেখা, স্বাক্ষর, সিল এবং ১ হাজার টাকার নোট ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে স্ট্যাপলিং থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে। প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্যান্ডিং করার পর সংশ্নিষ্ট শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ দেওয়ার বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যমান নিয়মে, গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের লেনদেনের সময় বাধ্যতামূলকভাবে জাল নোট সনাক্তকারী মেশিনে চেক করে নিতে হয়।অপ্রচলন যোগ্য ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়েরও বিভিন্ন বিধান রয়েছে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা জমার সময় পুন:প্রচলনযোগ্য ও অপ্রচলন যোগ্য নোট আলাদা করে জমা দিতে হয়। পুন:প্রচলনযোগ্য নোট বলতে বাজারে থাকা ফ্রেশ নোটকে বোঝানো হয়। আর অপ্রচলন যোগ্য বলতে ছেড়া, ফাটা, অনেক দাগানো, অংশ বিশেষ পোড়া বা এধরনের নোটকে বোঝানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকে এধরনের নোট জমারও বিভিন্ন বিধান রয়েছে। প্রতিটি শাখার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলে বাড়তি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হয়। যে এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেখানে সোনালী ব্যাংকের চেষ্ট শাখায় টাকা রাখতে হয়। এ ছাড়া বিধিবদ্ধ জমা, আন্ত:ব্যাংক লেনদেন নিস্পত্তি সহ বিভিন্ন কারণেও ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা রাখে।
PUBLISHED FROM
2152-B WESTCHESTER AVE BRONX
NEW YORK 10462 USA
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum Mintu
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us