পিকেটিং – সিপার আহমেদ৷

প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২১

পিকেটিং – সিপার আহমেদ৷
booked.net

Manual4 Ad Code

অনেকদিন আগের কথা।
দেশে তখন রাজনীতি ছিল। কেউ করতো সরকারী দল, কেউ করতো বিরোধী দল।
ক্ষমতার পালাক্রমে কখনো থাকতো বিএনপি, কখনো আওয়ামীলীগ। বিরোধী দল মাঝে মাঝে হরতাল ডাকতো। সকাল হতেই দেখতাম রাস্তার মোড়ে মোড়ে নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পিকেটিং করতো।রাস্তায় জরুরি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোন গাড়ি-ঘোড়া চলতেই পারতো না। নেতাকর্মীরা পিকেটিং এর মাধ্যমে বাঁধা দিতো। দোকানপাট খুলতে দিতো না। ৷ রিক্সা বের হলেই পিকেটাররা ফিরিয়ে দিতো।

৯০ দশকের পর থেকে এ সংস্কৃতি আস্তে আস্তে হারিয়ে গেছে।

ইদানিং করোনাকালীন লকডাউন দেখে সে দৃশ্য, সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ-বিজিবি যেন সেরকম কাজই করছে।

Manual8 Ad Code

আরো পড়ুনঃ   “আত্মহত্যার প্ররোচনার” মামলার আইনের বিধি-বিধান এবং অধিকাংশক্ষেত্রে খারিজ হবার বাস্তবতা!

Manual8 Ad Code

আমার খুব ভালই লাগছে। যদিও এটা সরকারি দায়িত্ব তারপরও আমার কাছে পিকেটিং পিকেটিং মনে হচ্ছে। জনশুন্য রাজপথ…যেন হরতাল চলতেছে 

Manual7 Ad Code

দেশ এখন মহামারির কবলে। কঠোর লকডাউন ছাড়া এ বিপদ থেকে উদ্ধার হবারও সুযোগ নেই। এবারের লকডাউনটা আশা করি সবাই মেনে চলবে। বিশেষ করে গরীব দিনমজুর কারো কোন সমস্যা হবে না। কারণ, মাত্র ইদ গেল… সবার ঘরে মোটামুটি কমবেশী মাংশ আছে, খাবার আছে। ইদে গরীব দিনমজুররা বিভিন্নভাবে আর্থিক সহযোগিতাও পেয়েছে। আশা করি এ দু’সপ্তাহ কেউ না খেয়ে মরবে না।
কিছু কষ্ট হলেও ঘরে থাকি সবাই। বেঁচে থাকলে অনেক খাওয়ার সুযোগ আছে।
এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটা জরুরি।

Manual7 Ad Code

আমার বেশী ভয় হয় ইয়াং ছেলেপুলেকে নিয়ে। অপ্রয়োজনে এরা বিভিন্ন জায়গায় দলবেঁধে আড্ডা দেয়।

এদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটু কঠোর হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে হাতের লাঠিটাও যেন এদের পশ্চাৎদেশ স্পর্শ করে। কারণ এরাই এখন করোনার বাহক।

ভাল থাকুন সবাই, ভাল থাকুক প্রিয়জনেরা।
আল্লাহ সহায়।

Ad

Follow for More!