কৃষি ডেস্কঃ– সোনালী, ব্রয়লার ও লেয়ারের ভিড়ে, আমাদের দেশ থেকে ফাউমি জাতের মুরগী অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে।
অথচ এই ফাউমি জাতের মুরগ এক সময় আমাদের দেশে দারিদ্র বিমোচনে বিশাল ভুমিকা রেখেছিলো।
বর্তমানে ফাউমি জাতের মুরগি পাওয়া যায় না বললেই চলে। তাছাড়া আমরা ও এই জাতটিকে ধরে রাখতে পারছি না। তবে আমাদের দেশের খামারীরা, এক সময় ডিম উৎপাদনের জন্য, এই জাতটি বাণিজ্যিক ভাবে পালন করতেন।
ফাউমি জাতের মুরগী জাতটি হারিয়ে যাবার অন্যতম কারন
পর্যাপ্ত মুরগির বাচ্চা না পাওয়া। এ কারণেই খামারিদের মধ্য অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। অতীতে সরকারি মুরগির খামারে প্রচুর পাওয়া যেত।
কিন্তু এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের “বার্ড ফ্লু” কারণে, সরকারি খামারের মুরগি নিধন করা হয়েছে। তাই বাচ্চার সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাউমি জাতের মুরগিটি যদি আবার খামারিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে এই জাতটি আমাদের দেশে পল্লী অঞ্চলে দারিদ্র বিমোচনে বিশাল ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ থেকে এই জাতটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। যদিও বা এ জাতের মোরগ-মুরগীর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে মিশর।
বৈশিষ্ট্যঃ-
১. পালকের রং কালো ও সাদা ফোটা ফোটা, ঘাড়ের পালক সাদা।
২. কানের লতি এবং গায়ের চামড়া সাদা।
৩. ডিমের খোসা সাদা।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।
খাবার :
একটি প্রাপ্ত বয়সের ফাউমী মুরগী দিনে ১০০ গ্রাম খাবার খায় । আপনি ইচ্চা করলে ৪০ গ্রাম কাচা ঘাস আলুর ডোগা, বেলেম্বু পাতা, গাবরা বন এই গুলো খাওয়াতে পারেন…সবসময়।
উপযোগীতাঃ
সুতরাং, ডিম উৎপাদনকারী জাত হিসাবে পরিচিত এ জাত আমাদের দেশীয় আবহাওয়ায় পালনের উপযোগী। এদের বার্ষিক গড় ডিম উৎপাদন ২৫০-২৮০ টি।