কয়েকটি ভেষজ উপাদানের গুনাগুণ৷

প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২১

কয়েকটি ভেষজ উপাদানের গুনাগুণ৷
booked.net

করোনা মহামারির মাঝে সবাই কমবেশি আতঙ্কিত। এর ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে অনেকেই নিচ্ছেন নানারকম পদক্ষেপ। তবু এটির প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এর প্রতিকারে অনেকেই আবার বেছে নিচ্ছেন বিভিন্ন রকম ভেষজ উপাদানকে।

এর বাইরেও রোগ নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে আসছে বিভিন্ন রকমের ভেষজ উপাদান। আর এগুলোর ক্ষতিকারক প্রভাব বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের তুলনায় কম।

কিন্তু এ ভেষজ উপাদানগুলো চাইলেই ব্যবহার করতে পারি বিভিন্ন রোগের ওষুধের বিকল্প হিসেবে। এতে এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে না।

আমাদের হওয়া সাধারণ রোগের প্রতিকার হিসেবে প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা উচিত।

আরো পড়ুনঃ জেনে নিন রসুনের যত গুনাগুন।

 কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কোনো ভেষজ উপাদান কোনো রোগের নিরাময়ে ব্যবহার করা যাবে। তাই জানুন বিভিন্ন ভেষজ উপাদানগুলো, যা কাজ করে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে—

হলুদ
অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ঔষধি কাজে ব্যবহার করে আসা হয় হলুদ। এতে থাকে ‘কার্কিউমিন’ যা ব্যক্টেরিয়া ও ফাংগালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই হলুদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সব ধরনের সংক্রমণ রোধে কার্যকরী হিসেবে কাজ করে।

আমলকী
আমাদের পেটের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আমলকী অনেক কার্যকরী হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া এটি সব ধরনের ক্রনিক ইনফেকশনের আক্রমণে বাধা প্রদান করে।

হরীতকী
এটি আমাদের পেটে জমে থাকা বায়ু বের করে দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি পেটের নানা রকম জীবাণুনাশ করার পাশাপাশি পেট ফাঁপা কমাতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কার্যকরী।

তুলসি পাতা
তুলসিপাতায় বিশেষ ধরনের অ্যালকালয়েড থাকায় এটি জ্বর-সর্দি-কাশি নিরাময়ে অনেক ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এটি শরীরে শ্লেষ্মা বিনাশেও অনেক উপকারী।

দারুচিনি
সব ধরনের রোগজীবাণু প্রতিহত করতে অনেক কার্যকরী হচ্ছে দারুচিনি। এটির রয়েছে সরাসরি জীবাণুকে ধ্বংস করার মতো ক্ষমতা। এ ছাড়া এটি শ্বাসযন্ত্রের সব ধরনের সংক্রমণ বিনাশে কার্যকরী।

বাসকপাতা
বাসকপাতার রস বা এটি ফোটানো পানি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের শুকনো কাশি, জমে থাকা কফ এবং কাশির সঙ্গে রক্তপাত হওয়ার সমস্যাকে নিরাময় করেতে পারে। এ ছাড়া এটি লিভারের জন্যও অনেক উপকারী।

আদা
আদা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি শরীরকে গরম রাখতে ও শরীরের জীবাণুকে বিস্তার লাভ রোধ করতে সাহায্য করে। আর এটি শরীরের বিপাকক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

লবঙ্গ
গলাব্যথা, টনসিল ও ল্যারিনজাইটিসের মতো সমস্যাকে রোধ করতে সাহায্য করে লবঙ্গ। এ ছাড়া এটি গলাব্যথা এবং গলায় বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন রোধ করে।

গোলমরিচ
এটি জ্বরনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর এটি যে কোনো ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনকেও কমাতে সাহায্য করে।

থানকুনি পাতা
প্রতিদিন ১০টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে এটি অনেক উপকারে আসে। এটি আমাশয়, জিয়ার্ডিয়ার জীবাণু মারতে কার্যকরী।

কালমেঘ
এটি জ্বর কমাতে উপকারী। এ ছাড়া এটি লিভারের জন্য এবং পেটের যে কোনো সংক্রমণ রোধে কার্যকরী হিসেবে কাজ করে।

বিড়ঙ্গ
এটি শরীরের সব ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে। গরম পানিতে এটি পান করলেই মিলবে অনেক উপকার।

আনারস পাতা
আনারসের পাতার নিচের সাদা অংশ নিয়ে সেটি রস করে খেলে মিলবে পেটের কৃমি বা প্যারাসাইট থেকে প্রতিকার।

Ad