ডায়াবেটিস রোগীর আদর্শ এক খাবার হলো- বাদাম।

প্রকাশিত: ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২৫, ২০২১

ডায়াবেটিস রোগীর আদর্শ এক খাবার হলো- বাদাম।
booked.net

 

অনলাইন ডেস্কঃ-[১] আট থেকে আশি। বয়সের কোন বাছ বিচার নেই! এমন’ই এক ভয়ংকর রোগের নাম ডায়াবেটিস । যদিও বা প্রাত্যহিক জীবনে চিকিৎসক দের পরামর্শে সাময়িক তা নিয়ন্ত্রণে থাকলে , এ থেকে নিস্কৃতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা

[২] ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত দের কষ্ট করে হলেও অনেক সময় খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হয় । এসব ভেবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। তবে জানেন কি? ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আদর্শ এক খাবার হলো চিনা বাদাম। আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালের গবেষণা অনুসারে দেখা যায় যে, চিনাবাদাম বা পিনাট বাটার খাওয়ার ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে অসম্পৃক্ত ফ্যাট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ থাকে, যা আপনার দেহের ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে পরিচিত।

[৩] বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন,অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো-হাইড্রেট ও প্রোটিন আছে। প্রতিদিন একমুঠো চিনা বাদাম খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চিনাবাদামে কম গ্লাইসেমিক সূচক থাকে। এর অর্থ তারা খুব দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। এ ছাড়াও চিনাবাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী।

আরো পড়ুনঃ তীব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার উপায়।

★ ডায়াবেটিস রোগীরা যে কারণে চিনাবাদাম খাবেনঃ-

[৪] চিনাবাদামে কম গ্লাইসেমিক সূচক থাকে। এর অর্থ তারা খুব দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। ডায়াবেটিস রোগীর কম গ্লাইসেমিক খাবার খাওয়া জরুরি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আপনার শরীর শর্করা এবং রক্তে শর্করা কার্বোহাইড্রেটকে রূপান্তর করে তার উপর ভিত্তি করে। চিনাবাদামের ১৩টি গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে।

[৫] ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাতঃরাশে পিনাট বাটার খেলে ক্ষুধা কমে। সারাদিন রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এ ছাড়াও চিনাবাদামে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে।

[৬] পুষ্টিবিদদের মতে, চিনাবাদামে আখরোট সহ বিভিন্ন বাদামের সমান পুষ্টিগুণ থাকে। আবার চিনাবাদাম অন্যান্য বাদামের তুলনায় দামেও সস্তা। চিনাবাদাম শুধু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যই নয় হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং প্রদাহে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও কার্যকর।

[৭] চিনাবাদাম ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ওজন কমতে শুরু করে। রক্তে শর্করার মাত্রা আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। দ্য জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ক্যালোরি পোড়ানোর সেরা উপায় হলো প্রোটিন।

[৮] বাদামে থাকা পুষ্টিগুণ শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো চিনাবাদাম খেতে পারেন শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে।

রাতে ১০-১৫টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরো পড়ুনঃ জেনে নিন রসুনের যত গুনাগুন।

Ad