হঠাৎ জ্বর ! জেনে নিন সুস্থ হওয়ার পরামর্শ।

প্রকাশিত: ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২০, ২০২১

হঠাৎ জ্বর ! জেনে নিন সুস্থ হওয়ার পরামর্শ।
booked.net

আবহাওয়া পরিবর্তনের রেশ ধরে এখন মৌসুমী সর্দি-কাশি, হঠাৎ জ্বর! এরকম উদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যেকোনো সময়।
কোন উপায়ে জ্বর কমানো যায়? তা ভাবতে ভাবতেই হয়তো খেয়ে ফেলছেন গোটা কয়েক ওষুধ, যা একদমই উচিত নয়। বরং হঠাৎ জ্বর এলে তা কমানোর কিছু উপায় আগে মেনে চলতে হবে।
জ্বরের তীব্রতা যখন লাগামহীন তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে জ্বরের প্রাথমিক দিনগুলোতে ঘরোয়া কিছু নিয়ম মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই হয়তো আরোগ্য লাভ হতে পারে।
জ্বরের কারণ
জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের একটা উপসর্গ। আমাদের শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রী ফারেনহাইটের মতো থাকে।
তবে এর থেকে যখন কিছু তাপমাত্রা বাড়ে, অর্থাৎ ১০০ ডিগ্রী অতিক্রম করে তখন তা সামান্য জ্বরের ইঙ্গিত বহন করে। অবশ্য সেটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।
আর যদি জ্বর ১০৩ এর কাছাকাছি চলে যায় তখন তা মাঝারি জ্বর হিসেবে ধরা হয়। তার উপরে গেলে তা উচ্চ জ্বর আর তখনই সাবধান হওয়া দরকার হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুনঃ করোনা কালে মনোযোগ বাড়ানোর টিপস্।
জ্বর হলে কী করবেন?
জ্বর এলে হুটহাট নিজের সিদ্ধান্তে ওষুধ খাওয়া একদমই উচিৎ নয়।
জ্বরের সময়ে প্রধান চিকিৎসা হলো তরল খাবার খাওয়া।
যদি অফিসে বা বাইরে থাকেন তাহলে জ্বর আসছে বুঝলেই বিরতি দিয়ে প্রচুর পানি খান।
চেষ্টা করুন একটু গরম স্যুপ খেয়ে নেওয়ার।
সঙ্গে আদা-চা খান। এতে গলা ব্যথা বা মাথা ধরা থাকলে তা অনেকটা কমবে।
গরম পানিতে লেবুর রস ও আদা কুচি মিশিয়ে খেলে অনেকটা উপকার পাবেন। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যা দূর হবে।
জ্বর হলে রোগীর সারা শরীর স্পঞ্জিং করতে হবে অর্থাৎ ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে।
জ্বর হলে সারাক্ষণ শুয়ে থাকা যাবেনা। এতে জ্বর বরং বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সম্ভব হলে হাঁটাহাঁটি করুন, রোদের মধ্যে গিয়ে খানিক টা সময় বসুন। এতে গা ম্যাজম্যাজ করা ভাবটা কমবে।
১-৩ মাস বযসের শিশুর জ্বর হলে তাপামাত্রা যখন ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হওয়া মাত্র চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
৩-৬ মাস বয়সের শিশুর জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পার হয়ে গেলে, শিশু অত্যাধিক কান্নাকাটি করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।
৬-২৪ মাস বয়সের শিশুর ক্ষেত্রে, জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হয়। তা যদি একদিনের বেশি স্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Ad