কুলাউড়ায় শতাধিক পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি এম এম শাহীন।

প্রকাশিত: ২:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৩

কুলাউড়ায় শতাধিক পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি এম এম শাহীন।
booked.net

স্টাফ রিপোর্টঃ- হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শতাধিক মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন। তিনি গত ২১ অক্টোবর শনিবার মহাসপ্তমীতে কুলাউড়ার বরমচাল, ব্রাহ্মণবাজার, জয়চণ্ডী, সদর ইউনিয়ন, পৌর শহরের শিবির এলাকা এবং কাদিপুর ইউনিয়নের কৌলা সহ বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরদিন ২২ অক্টোবর রোববার মহা অষ্টমীতে টিলাগাঁও, হাজীপুর, শরীফপুর, কর্মধা ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের অনেক পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান। জয়চন্ডী, রাউৎগাঁও, ভুকশিমইল, কাদিপুর, পৌরসভা সব মিলিয়ে তিন দিনে কুলাউড়া উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার শতাধিক পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন এম এম শাহীন।

বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে সাবেক এমপি এম এম শাহীন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বিভিন্ন মণ্ডপের নেতৃবৃন্দ ও বাগান পঞ্চায়েতের নেতাদের সঙ্গে দুর্গাপূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। নেতারা জানান, অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে জাঁকজমক পরিবেশে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্‌যাপিত হচ্ছে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কুলাউড়ার বিভিন্ন রাজনীতিক, সমাজসেবী, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে এম এম শাহীন বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অপূর্ব সম্মিলনস্থল কুলাউড়া। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ধর্মকর্ম সম্পাদন করছে। এবারের দুর্গাপূজায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজা উদ্‌যাপন করছেন। এ জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, কুলাউড়ায় এ বছর সর্বজনীন ২০৩টি ও ব্যক্তিগত ১৯টিসহ মোট ২২২টি পূজামণ্ডপে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে গত ২০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দুর্গোৎসব ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিজর্সনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

ছবিঃ- পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সাবেক এমপি এম এম শাহীন।

Ad