প্রকাশিত: ১:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২১
আব্দুল কুদ্দুসঃ- কুলাউড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে উৎফুল্ল উপকারভোগীরা। তারা এই ঘরগুলোকে ‘স্বপ্নের ঘর’ আখ্যায়িত করছেন।
তাদের মতে, ভিটাবাড়ি শুন্য মানুষদের জন্য বিষয়টি স্বপ্নের মতো। তবে কিছু ঘরে বিদ্যুৎ ও পানি না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিঘ্রই নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
কুলাউড়ায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে মোট ২১০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৪২টি ঘরের চাবি উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুলাউড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মিত ঘরে এখন পর্যন্ত কোন অনিয়ম বা সমস্যা দেখা যায়নি।
আরো পড়ুনঃ স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম সম্পন্ন। মুগ্ধ হলেন পৌরসভার মেয়র।
সরেজমিন বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরসমুহে ফাটল কিংবা মেঝের সিমেন্ট উঠে যাওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। এমনকি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত স্থান নির্ধারণেও বেশ রুচির পরিচয় দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সড়কের পাশ ঘেরা এসব ঘরে বসবাস করে উপকারভোগীরা উদ্বেলিত ও উচ্ছ্বসিত।
উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্টিউলী, জয়চন্ডী ইউনিয়নের উত্তর কুলাউড়া (পুশাইনগর), ভাটেরা ইউনিয়নের কড়ইতলা ও ইসলামনগর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘরগুলোতে সবুজ ও লাল রঙের টিন ব্যবহার করা হয়েছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘরে রয়েছে একটি করে রান্নাঘর, শৌচাগার ও স্টোর রুম।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া স্বপ্নের বাড়িতে ইতিমধ্যে উপকারভোগীরা তাদের সন্তানাদি নিয়ে আনন্দে কাটাচ্ছেন দিন। কেউ কেউ শোভাবর্ধনের জন্য ঘরের আঙ্গিনায় লাগিয়েছেন ফুল ও ফলের গাছ। ঘর ঘেঁষে তৈরি করছেন আলাদা আরও প্রয়োজনীয় গুদাম ঘর। সবাই খুব উৎফুল্ল, আনন্দিত।
এদিকে প্রকল্পের ঘরের কাজ পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মল্লিকা দে ও প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর রাজু। তারা উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে খোঁজখবর নেন।
কর্মধার টাট্টিউলী এলাকায় নির্মিত ঘরে উপকারভোগী হেলাল মিয়া (৪১), ফখরুল আলম (৩৭), ফয়জুন বেগম (৪৬), আজিরুন বেগম (৪৫) তারা প্রত্যেকেই পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে বসবাস করছেন। তারা জানিয়েছেন, ঘর পেয়ে তারা আনন্দিত। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জয়চন্ডী ইউনিয়নের উত্তর কুলাউড়া এলাকায় তৈরি প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ঘরে বাস করছেন গৌরি দাস (৪০), সবজান বিবি (৫৫), নির্মল দাস (৬০), নিপালী রাণী দাস (৩২)। তারাও ঘর পেয়ে সন্তুষ্ট।
ভাটেরার কড়ইতলায় নির্মিত উপহার ঘরে বাস করছেন গোলাপ মিয়া (৭০), জাবেদ মিয়া (৩৮), ফিরুজ মিয়া (৪৫) ও রীনা বেগম (৫০)। তারা নিজেদের বসবাস উপযোগী করে ঘর গুছাচ্ছেন। তাদের চোখে মুখে তৃপ্তি ফুঁটে উঠেছে।
কুলাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তালিকাভুক্ত ৪৪০টি ভূমিহীন পরিবার রয়েছে। কুলাউড়া উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০০টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘরের খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রথম পর্যায়ে ১১০টি ভূমিহীন পরিবার পেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার। প্রতিটি ঘরের খরচ ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী বলেন, ১ম পর্যায়ের ১১০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষে ইতোমধ্যে উপকারভোগীদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১০০টি ঘরের মধ্যে ৪২টি ঘরের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।
মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান ঘরগুলোতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনা হবে বলেন জানান।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মুহসিন বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোতে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে ইতিমধ্যে যেসব ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে বেশীরভাগ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে। পানিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যেসব ঘরে বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা এখনো হয়নি তা বাস্তবায়ন করার জন্য উভয় বিভাগের সাথে সমন্বয় করে তা দ্রুত কার্যকর করার চেষ্টা করছি।।
PUBLISHED FROM
2152-B WESTCHESTER AVE BRONX
NEW YORK 10462 USA
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum Mintu
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us