যে পাঁচ আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়।

প্রকাশিত: ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫

যে পাঁচ আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়।
booked.net

আল্লাহ তাআলা মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে রিজিক দেন। কেউ অল্প রিজিক পেয়েও তুষ্ট থাকে। আবার কেউ অধিক রিজিক পেয়েও সর্বদা হতাশায় ভোগে। কেউ রিজিক পেয়ে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করে আবার কেউ রিজিক পেয়ে তার রিজিকদাতাকেই ভুলে যায়। নবীজি বলেছেন, যে ব্যক্তি তার জীবিকার প্রশস্ততা চায় এবং সে দীর্ঘায়ু কামনা করে, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এত সব মানুষের ভিড়ে কেউ কেউ চান আল্লাহ যেন তাদের রিজিক বাড়িয়ে দেন। তারা এই ৫টি আমল করতে পারেন।

 

বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়া- রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম বড় আমল হলো বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়া। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ: ১০-১২)

 

এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, দুনিয়ায় সমৃদ্ধি, হালাল রিজিক, সম্পদ ও সুসন্তান লাভের একটা উপায় হলো আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা।

 

ঠিকমতো ইবাদত করা- আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মশগুল থাকাও রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম বড় আমল। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি তোমার অন্তরকে খালি করে নাও। আমি তোমার অন্তরকে অভাব-মুক্তি দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিব এবং তোমার দরিদ্রতার পথ বন্ধ করে দিব। আর যদি তা না কর, তবে আমি তোমার হাতকে (দুনিয়ার) ব্যস্ততায় পূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব মিটাবো না’। (মিশকাত ৫১৭২)

 

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা- আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে আল্লাহ তাআলা তার রিজিক বাড়িয়ে দিবেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার জীবিকার প্রশস্ততা চায় এবং সে দীর্ঘায়ু কামনা করে, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। (মুসলিম ৬২৯৩)

 

দান সদকা- আত্মীয়দের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও গরিব অসহায় এবং আল্লাহর রাস্তায় দানের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি হয়। তাই আমাদের রিজিক বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত দান সদকা এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে।

 

বিয়ে করা- বিবাহের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলা রিজিক বৃদ্ধি করে দেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সত্কর্মশীল দাসদাসীদের বিয়ে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর ৩২)

Ad