নিউইয়র্ক কলেজে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেলেন দুই বাংলাদেশি।

প্রকাশিত: ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০২১

নিউইয়র্ক কলেজে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেলেন দুই বাংলাদেশি।
booked.net

Manual7 Ad Code

ডেস্ক নিউজঃ- চলতি বছর বিশ্ব খ্যাত নিউইয়র্ক টাইমস কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশী দুইজন রয়েছেন; তারা হলেন- সামিয়া আফরিন ও লামিয়া হক।

অন্যান্যরা হলেন- পাকিস্তানের আয়মা আলি, চীনা বংশোদ্ভুত ব্রায়ান ঝ্যাং ও জেনিফার ওয়েং, কাজাখস্তানের এনলিক কাজাশেভা, এস্তোনিয়ার আলেক্স কোয়িভ, ইকুয়েডরের পরিবারের মেয়ে জাইলেন সিনচি, নিউ ইয়র্কের ব্রনক্সের ডেনিয়েল নাইট ও নিকল রাজগর, নিউইয়র্ক সিটির টাইগারলিলি হপসন ও জেলিস উইলিয়ামস। এদের সবার বয়স’ই ১৮ বছর।

Manual6 Ad Code

আরো পড়ুনঃ ১২ জুন পর্যন্ত বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

Manual7 Ad Code

সামিয়া ও লামিয়ার মতো বৃত্তি জয়ী বাকিরা যথেষ্ট প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে জীবনকে সফল করার চেষ্টায় এগিয়ে চলছেন। এদের কেউ দারুন অর্থকষ্ট মোকাবেলা করছে, কাউকে সইতে হয়েছে কটূক্তি। আবার কেউ নিজের বোনকে গুলি খেয়ে মারা যাওয়ার দৃশ্য দেখার পরও মনোবল হারায় নি।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উচ্চশিক্ষার জন্য যে ১২ জনকে এবার বৃত্তি দেয়া হচ্ছে তারা সবাই দারিদ্র্য, বুলিং, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সংকট এবং পারিবারিক শোক মোকাবেলা করে নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলেছেন।

Manual3 Ad Code

বৃত্তি পাওয়া সামিয়া আফরিন জানান, “ভবিষ্যৎ জীবনে আমি যে পেশাই বেছে নিই না কেন, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং তা সহজ করতে আমার আজীবন চেষ্টা থাকবে।”

প্রায় ১০ বছর আগে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন আফরিন। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে একটি নিম্ন আয়ের মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা আফরিন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ইউনিভার্সিটি অব রোচেস্টারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে যাওয়া আফরিনই তার পরিবারের প্রথম নারী, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে পা দিচ্ছেন।

আরেক বাংলাদেশি লামিয়া হকের পরিবারও উন্নত ভবিষ্যতের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছে। পরিবারের বড় সন্তান লামিয়া জানান, শৈশবের বেশিরভাগ সময় তার কেটেছে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার লড়াইয়ে। তিনি এখন ম্যাসাচুসেটসে উইলিয়ামস কলেজে অপরাধ আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেবেন।

Manual5 Ad Code

উল্লেখ্য যে, ১৯৯৯ সাল থেকে চালু হওয়া এই বৃত্তি কর্মসূচি মূলত জনসাধারণের দান ও একটি দাতব্য তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত। এখান থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত’রা তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য বছরে ১৫ হাজার ডলার করে পাবেন। তাছাড়া এই কার্যক্রম শত শত শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছে। সুত্র- নিউ ইয়র্ক টাইমস।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad

Follow for More!