দেড় যুগ পর রকলিজেন্ড হামিন আহমেদের নতুন গান।

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২২

দেড় যুগ পর রকলিজেন্ড হামিন আহমেদের নতুন গান।
booked.net

বিনোদন ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগেরও বেশি সময় পর রকলিজেন্ড হামিন আহমেদ এর নতুন একটি গান প্রকাশ পেলো। ‘যেওনা চলে, কিছু না বলে’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কৌশিক হোসেন তাপস। সুর করেছেন হামিন আহমেদ নিজে।

সদ্য যাত্রা শুরু করা টিএম রেকর্ডস এর ব্যানারে গানটি মুক্তি পেয়েছে। উল্লেখ্য, কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী জুটির এই অডিও প্লাটফর্ম থেকে এরই ভেতরে বেশ কিছু বিগ বাজেটের মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে। যা গেয়েছে এ প্রজন্মের গায়ক-গায়িকারা। মডেল হিসেবে অংশ নিয়েছেন দেশি-বিদেশি তারকারা। গানগুলির ভিডিও এরই ভেতরে ফেসবুক, ইউটিইবসহ একাধিক প্লাটফর্মে কয়েক মিলিয়ন দর্শক দেখেছেন।

দীর্ঘদিন পর নতুন সিঙ্গল প্রকাশ প্রসঙ্গে রকস্টার হামিন আহমেদ বলেন, ‘এটা একমাত্র তাপসের কারণেই সম্ভব হয়েছে। আসলে আমরা গান বাংলায় যখন একেবারে শুরুর দিকে আড্ডা দিতাম, তখন আড্ডার ফাঁকেই এই সুরটি তৈরি হয়। তাপস তার প্রজেক্টে রেকর্ড করে রাখে।এরপর অনেকদিন গড়িয়েছে। একটা গান কম্পোজিশন করবে, এমন একটা পরিকল্পনা হলে তাপসই আমাকে বলে, আপনার জন্য একটা সুর তো অলরেডি আমাদের কাছে রয়েছেই। ঐটাই করতে পারি। আমিই কিছুটা অবাক হই। কারণ ঐ সময়ের তাত্ক্ষনিক সুরটা তো আমার মনেও ছিল না। পরে গানটাতে পিয়ানো বাজানোর আইডিয়া সহ সাউন্ড ডিজাইন তাপস নিজেই করলো। একটা ব্যাপার বলতেই হয়, প্রত্যেকটা গান নিয়ে তাপস যেভাবে রাতদিন ইনভলভ থাকে তাতে সত্যিই অবাক লাগে। এ ধরনের মিউজিশিয়ানই পারবে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করতে।’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত পরিচালক কৌশিক হোসন তাপসের সঙ্গীতে এই গানটির চিত্রায়ন হয় মালদ্বীপে। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন তানিম রহমান অংশু। গানটিতে সলো গিটার বাজিয়েছেন হামিন আহমেদ। এছাড়া রাশিয়ার মিউজিশিয়ান বাজিয়েছেন বেস গিটার। মিক্স ও মাস্টারিং ও হয়েছে দেশের বাইরে। গানটির ভিডিও নির্মাণ প্রসঙ্গে হামিন আহমেদ বলেন, ‘এটা তো আরেক কাহিনী। আমাদের তখন কক্সবাজারে মাইলসের একটা শো ছিল। এদিকে সরাসরি ঢাকা-মালদ্বীপ ফ্লাইট নেই। যা পাওয়া গেল তার পরদিন। গানবাংলা টীম আমাকে জানালো ভোরে থাকতে হবে আমাকে এয়ারপোর্টে। পেপারস আর পাসপোর্ট সব টিএম রেকর্ডস টীমের কাছেই ছিল। কিন্তু রাতে শো করে ভোরে কিভাবে কক্সবাজারে পৌঁছাবো? এটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালো।অবশেষে শো শেষ করেই ব্যাগ পেটরা গুছিয়ে একটা মাইক্রো নিয়ে ছুট দিলাম কক্সবাজার থেকে ঢাকা। সরাসরি ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌছলাম। তখন একদম বোর্ডিং নেবার সময়। আমরা যারা রকমিউজিক করি, তাদের একের পর এক ধারাবাহিক এক জেলা থেকে আরেক জেলায় কনসার্ট করার অভ্যেস। যেন সেই পুরনো অভ্যেসটাই অনেকদিন পর কাজে লাগলো।এদিকে নির্মাতা অংশু তার পুরো টিম নিয়ে মালদ্বীপে পৌঁছে গেছে আগেই। মালদ্বীপে তো চারদিকে পানি আর পানি। সেখানে পৌঁছেই আমাকে দাঁড়িয়ে যেতে হলো গিটার নিয়ে।’

হামিন আহমেদের গাওয়া ‘যেওনা চলে’ গানটি এরই মধ্যে ফেসবুকে ভিউ হিসেবে ১০ মিলিয়ন পার করেছে। গানটি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘আসলে একটি গান রিলিজের পেছনে এটা পুরো টীমের কতগুলো মেম্বার যে একাট্টা হয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।’

দীর্ঘদিন পর গানে ফেরা ও মাইলসের কনসার্ট মিলিয়ে আগামী দিনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে হামিন আহমেদ জানান, ‘বেশ কটি গান টিএম রেকর্ডস থেকে প্রকাশের জন্য পাইপ লাইনে রয়েছে। এছাড়া মাইলস তো তার নিজস্ব গতিতেই চলছে, চলবে। আবারও কোভিডের একটা সংকট চলে এলো। নয়ত খুবই স্বচ্ছন্দেই সবকিছু চলছিল। আশা করছি আবারও আমরা আগের মতো গানে ফিরতে পারবো।’ গানটিতে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন নিবিড় ও তৃন।

Ad