প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৩
আব্দুল কুদ্দুসঃ- কুলাউড়ায় আলোচিত জিলান হত্যা মামলায় বিনা দোষে স্বামীকে জেল খাটতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রুমেল খানের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা। রুমেল খান (৪০) ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত সরবর খানের ছেলে। তিনি একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন।
সাদিয়া সাংবাদিকদের বলেন- ‘আমার স্বামী যদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতেন তবে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতেন। তিনি বর্তমানে জেলে। আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় কাতরাচ্ছেন। ৭ বছরের একমাত্র অবুঝ ছেলে বাবা বাবা বলে সারাক্ষণ কান্না করে। আমার স্বামী মিথ্যা মামলায় জেলে যাওয়ার পর থেকে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।’
এছাড়া রুমেল খান প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করছেন সাদিয়া সুলতানা। তিনি আরও বলেন- ‘রুমেল সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি প্রতিহিংসার শিকার। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সেদিন আমাদের বাড়িতে একটি পরিবারিক অনুষ্ঠান ছিলো। বিনা দোষে আমার স্বামীকে জেল খাটতে হচ্ছে।’ জিলানের বাবা আব্দুল হামিদ ‘খারাপ প্রকৃতির লোক’ উল্লেখ করে সাদিয়া বলেন- ‘গ্রামে বিভিন্নজনকে জুলুম-অত্যাচার করেন তিনি। আর রুমেল খান এসবের প্রতিবাদ করেন বলেই প্রতিহিংসাবশত তাকে ছেলে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে সুষ্ঠু তদন্তের জোর দাবি জানান।
এদিকে মামলার বাদী আব্দুল হামিদ বলেন- ‘২০২২ সালে সামান্য কয়েকটি কবুতর নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে রুমেল খান আমাকে তার বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। সে সময় আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেই। এ ঘটনায় আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। এরই জের ধরে রুমেলের পরিকল্পনায় তার ভাই-ভাতিজারা মিলে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই বিদ্যুৎ পুরকায়স্থ বলেন- ‘মামলার এজাহারে রুমেল খানকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করেছেন বাদী। প্রাথমিক তদন্তে তার সত্যতাও পাওয়া গেছে। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তদন্ত সবেমাত্র শুরু, বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন- ‘গভীর তদন্তে সবকিছু খোলাসা হবে। তবে এটা নিশ্চিত- কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে হয়রানি করবে না পুলিশ।’
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মুহাম্মাদ জিলান (২২) কে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পৌর শহরের দক্ষিণ বাজারস্থ বাস স্ট্যান্ডে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৬-৭ জন দুবৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। সিলেটের একটি হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭ জুলাই (শুক্রবার) রাতে জিলান মারা যায়। এ ঘটনায় জিলানের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঘাগটিয়া গ্রামের রুমেল খানকে প্রধান আসামি করা হয়। ৭ জুলাই রাতে রুমেলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ছবিঃ- রুমেল খান।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us