প্রকাশিত: ৯:২১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২২
আরবি সর্বশেষ মাস জিলহজ মাস। ইসলামের দৃস্টিকোন থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, এই মাস অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি মাস ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারীর মাস।
জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য (তিরমিজি)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল উত্তম নয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না। তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরতে পারেনি। (বুখারি)
জিলহজ মাসের আমল সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস থেকে যা পাওয়া যায় তাহলো- মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোরবানি করতে চায়, সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর চুল ও নখ না কাটে’ (ইবনে মাজাহ)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রাসুল করিম (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহর মধ্যবর্তী সময়ের (সগিরা) পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর জান্নাতই হচ্ছে মকবুল হজের একমাত্র প্রতিদান’ (সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিম)।
এই দিনগুলোতে অধিকহারে তাকবির ইত্যাদি পাঠ করা উচিত। এ বিষয়ক হাদিসে হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে- মহানবী (সা.) বলেন, ‘অতএব তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) এবং তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) পড়বে’ (মুসনাদে আহমাদ)।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে জিলহজ মাসের বরকত থেকে কল্যাণ মণ্ডিত হওয়ার সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us