গোগালীছড়া। কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাসেও শুরু হয়নি মেরামত কাজ।

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২

গোগালীছড়া। কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাসেও শুরু হয়নি মেরামত কাজ।
booked.net

আব্দুল কুদ্দুসঃ- কুলাউড়া পৌরসভার পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোগালীছড়া খালের ডান ও বাম পাশের ৩ স্থানে মেরামত কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার ৭ মাস অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাজ শুরু না হওয়ায় ঠিকাদারের উদাসীনতাকে’ও দায়ী করে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুলাউড়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সৃষ্টি হওয়া গোগালীছড়া খালটি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড হয়ে হাকালুকি হাওরে মিলিত হয়েছে। পাহাড় থেকে ছড়ার উৎপত্তি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ী ঢলে নদীর দু’কুল উপচে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।

গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে নদীর দু’কুলের ৩টি স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে কুলাউড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দুই তৃতীয়াংশ গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, স্কুল, মাদরাসা, গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ২৬ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করে দুর্যোগ বিবেচনায় জরুরি মেরামতের নির্দেশ দেন। নদীর বাম তীরের দশমিক ৫০০ মিটার হতে দশমিক ৫৩০ মিটার ও দশমিক ৮২০ মিটার হতে দশমিক ৮৫০ মিটার এবং ডান তীরে দশমিক ৪৭০ মিটার হতে দশমিক ৪৮০ মিটার পর্যন্ত মোট ৭০ মিটার এলাকায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন কমিটি দ্বারা বাঁধের অস্থায়ী স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজ নিরুপন সহ বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয় ৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি সরকার স্বাক্ষরিত একটি কার্যাদেশ গত ২৯ জুলাই প্রদান করা হয়। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ঢাকার রাহাদ কন্সট্রাকশন।

ইতোমধ্যে ৭ মাস অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মিসেস রিনা কাজ বিলম্বের কারণ হিসেবে জানান, দেশের করোনার কারণে মুলত কাজটি করতে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়েছিলো তার গোটা পরিবার। বর্তমানে সুস্থ হলেও আতঙ্কে কোথাও বের হচ্ছেন না, অবশ্য স্থানীয় কাউন্সিলরকে কাজ করে দেয়ার জন্য তিনি অবগত করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে বলে’ও জানান।

কুলাউড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম জানান, কাজ শুরু হয়নি। আর এক মাস পরে আবার মেঘ বৃষ্টি শুরু হলে কাজ শেষ করা কঠিন হবে। এটা খুব বড় কাজ না, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা এজন্য দায়ী। তবে এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad