কুলাউড়ায় ম্যাসেজ পেয়েও টিকা নিতে পারেননি ৫ শতাধিক মানুষ।

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২১

কুলাউড়ায় ম্যাসেজ পেয়েও টিকা নিতে পারেননি ৫ শতাধিক মানুষ।
booked.net

 

স্বপন কুমার দেব রতনঃ-  কুলাউড়ায় করোনার টিকার নির্দিষ্ট তারিখের ম্যাসেজ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে টিকা নিতে না পেরে চরম ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক টিকা গ্রহীতাকে। ভোগান্তির শিকার নিবন্ধনকারীরা হাসপাতাল ভবনের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভোগান্তির শিকার ৩০-৪০ জন মানুষরা অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট তারিখের ম্যাসেজ পেয়ে টিকা দিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা হাসপাতালের সামনে রোদে দাঁড়িয়ে থাকেন ভ্যাকসিনের জন্য। দুপুরে পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টিকা শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে গেইট বন্ধ করে দেন। অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণটিকার জন্য উপচে পড়া ভিড়ে বিশৃঙ্খলতা দেখা গেছে। চাহিদার তুলনায় টিকা কম থাকায় অনেকে টিকা না পেয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।

অর্ধশতাধিক ভোক্তভোগীরা জানান, বুধবার রাতে মোবাইলে ম্যাসেজ পাই টিকা দেওয়ার। ম্যাসেজে ৩০ তারিখ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেন্দ্রে এসে টিকা দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। সকালে এসে অপেক্ষা করে টিকা পাইনি। টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা হঠাৎ করে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবার কবে টিকা নিতে পারবো সেটাও দায়িত্বরত কেহ জানাতে পারছেন না। তাঁরা বলেন, অনেকে নিবন্ধনের ম্যাসেজ ছাড়া এসেও টিকা দিয়েছেন। সারাদিন রোদে পুড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও হতাশ হয়ে আমাদেরকে ফিরে যেতে হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ১৩টি ইউনিয়নে ৯৪৪০ ডোজ করোনার টিকা বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে ৭০০ ডোজ করে কর্মধা ও জয়চণ্ডী ইউনিয়নে এবং বাকি ১১ ইউনিয়নে ৬০০ ডোজ করে গণটিকার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই দুইদিনে মোট ১৯ হাজার ৪৪০ ডোজ গণটিকার জন্য বরাদ্দ হয়।

কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক জানান, এই ইউনিয়নের ৭০০ ডোজ গণটিকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ টিকা কেন্দ্রে এসে উপস্থিত হয়ে টিকা না পাওয়া লোকজন ক্ষুব্দ হয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। এদিকে রাউৎগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল জানান, অত্র ইউনিয়নে ৬০০ ডোজ গণটিকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ম্যাসেজ পাওয়া অনেক মানুষ টিকা না পেয়ে ফিরত গিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার বলেন, আগে ম্যাসেজ পেয়েও অনেকে নির্দিষ্ট তারিখে টিকা গ্রহণ করেননি। নতুন ও পুরাতন ম্যাসেজ প্রাপ্তরা একসাথে আজকে এসে হাসপাতালে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করেছেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এতে চাহিদার তুলনায় টিকা আমাদের কাছে কম থাকায় অনেককে দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে যারা ইতিমধ্যে ম্যাসেজ পেয়েছেন তারেকে পরবর্তীতে টিকা এলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের টিকা দেয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad