কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করলেন সলমান।

প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করলেন  সলমান।
booked.net

আব্দুল কুদ্দুসঃ- কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ.স.ম কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি একেএম সফি আহমদ সলমান।

গত ১০ নভেম্বর কুলাউড়া শহরে এক অনুষ্ঠানে একেএম সফি আহমদ সলমানের বিরুদ্ধে কামরুল ইসলামের দেওয়া অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় পৌর  শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমানের নেতৃত্বে সমর্থকদের এক বিশাল মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মিছিল থেকে স্লোাগান দেওয়া হয়, “কামরুলের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে। আয়রে কামরুল দেখে যা সলমান ভাইয়ের কাফেলা। কুলাউড়ার মাটি সলমান ভাইয়ের ঘাঁটি”। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা উক্ত প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে জড়ো হন।

আ.স.ম কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান বলেন- উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ৮৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আত্মসাতের বিষয়টি বর্তমানে তদন্তনাধীন
রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এর একটা সুরাহা হবে। সফি আহমদ সলমান আরও  বলেন, শহরের বৃহত্তম মিলিপ্লাজা মার্কেটে অতীতের ন্যায় এখনও ১৪ জন পার্টনার রয়েছে। কেউ বলতে পারবে না, আমি এখানকার জায়গা দখল করেছি। কিন্তু ওই মার্কেটে
বীমা অফিসের নামে ৫ বছরের অফিস ভাড়া এখনও পরিশোধ করেন নাই আ.স.ম কামরুল ইসলাম। ওই অফিসে হবিগঞ্জের একটি মেয়েকে নিয়োগ দিয়ে তার চরিত্র হরণ করেন তিনি। এর দায়ে তিনি ৬০ হাজার টাকা জরিমানাও পরিশোধ করেন। তাছাড়া  উপজেলা পরিষদে জনৈক মহিলার চরিত্র হরণের দায়ে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা গুণেন কামরুল। ওই বিষয়টি নিস্পত্তি করেন সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম।

তিনি তার বক্তব্যে কুলাউড়া বাসীকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, আপনারা এই লোক থেকে দুরে থাকবেন। কামরুল কে উদ্দেশ্যে করে সলমান বলেন, যদি সংশোধন না হন তবে কুলাউড়ার মানুষ আপনাকে প্রতিহত করবে। কেননা, মুখে আওয়ামী লীগ আর অন্তরে বিষ লালন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে পারবেন না।

সফি আহমদ সলমান বলেন- সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিশাল মনোনয়ন বাণিজ্য করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম কামরুল ইসলাম। এই মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তিনি কুলাউড়ায় নোংরা রাজনীতি সৃষ্টি করলেন।

আ.স.ম কামরুল ইসলামের প্রতি ইঙ্গিত করে সলমান  বলেন- আমাকে নিয়ে কেন আপনার এত আতঙ্ক?কেন এত ভয়? আমার বিরুদ্ধে কেনইবা মিথ্যার এত অপবাদ তুলছেন। সফি আহমদ সলমান কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে সংশোধন হওয়ার
আহবান জানান; নতুবা কুলাউড়ার মানুষ কোনদিন তাকে ছাড় দিবেনা বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি তার বক্তব্যের পুরো সময় উপজেলা আওয়ামামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম কামরুল ইসলামের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন। সফি আহমদ সলমান সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল জব্বারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গুনী এই পরিবারের কারো কাছ থেকে কুলাউড়ার মানুষ কোনদিন খারাপ কিছু আশা করেনা।

প্রসঙ্গত, দুই নেতার  উত্তপ্ত বাক্য লড়াইয়ে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের  সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু এখনো  নীরব রয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad