নিজস্ব প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলাম প্রতিহিংসার কিংবা প্রতিশোধের রাজনীতি করে না। কেননা, প্রতিহিংসা কিংবা প্রতিশোধ কখনও শান্তি বয়ে আনতে পারে না। কেউ সহিংসতার শিকার হলে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তার বিচার হবে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ পালন উপলক্ষে কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলাম এই সভার আয়োজন করে।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, তারা গদি হারালে দেশে তাদের ৫-৬ লাখ কর্মির মৃত্যু হবে। কিন্তু কোথায়; গত ৯ মাসে আওয়ামী লীগের কাউকে নির্যাতন করা হয়েছে কিংবা কেউ একজনের মৃত্যু ঘটেছে এমন খবরতো কেউ পায়নি। সহিংসতায় আওয়ামী লীগের কেউতো মারা গেলো না। তাদের কথায় ও কাজে মিল নেই।
শফিকুর রহমান বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এদেশে সব ধর্মের লোকের বসবাস নিশ্চিত করতে চাই। এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কেউ নেই।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলাকালে নাশকতার আশঙ্কা করা হয়েছিল। তখন আমাদের দলের কর্মীরা মন্দির পাহারা দিয়েছে। সেটা ছিল আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা তখন বলেছিলাম, হিন্দু ভাইয়েরা যতদিন প্রয়োজন মনে করবেন, আমাদের কর্মীরা ততদিন তাদের পাশে থাকবে। আগামীতে পাহারা ছাড়াই পূজা উদযাপন করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীতে কোন জালিম যদি জুলুম করে তাহলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবো।

উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে আমরা সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করবো শিক্ষাখাতে। এসএসসি, এইচএসসি, মাষ্টার্স এত পরীক্ষার পর আবার চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে হবে তা হতে পারে না। এতো পরীক্ষা দেয়া মানে শিক্ষার উপর কোন আস্থা নাই। সিন্ডিকেট আর এসব চুরি দূর্নীতি বন্ধ করা হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন-কুলাউড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা: অরুনাভ দে, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রজত কান্তি ভট্রাচার্য্য, কুলাউড়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্রাচার্য্য সজল, পুজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি অজয় দাস, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইয়ামির আলী, বিচিত্র দে, মেম্বার সত্য নারায়ন নাইডু, অশোক ধর, মৌলভীবাজার পৌর জাময়াতের সেক্রেটারি তাজুল ইসলাস ও রাজানুর রহিম ইফতেখার,প্রমুখ।

এর আগে জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান সকাল ১০টায় উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ বাজারে কর্মী সভায়,বেলা দেড়টায় জুড়ি নাইট চৌমুহনীতে পৃথক কর্মী সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।

ছবি:- বক্তব্য রাখছেন ডা.শফিকুর রহমান।