প্রকাশিত: ২:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- গাজায় ইসরায়েলের তাণ্ডব চালানো সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সূত্র জানিয়েছে, এর ফলে তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করার সময় ইসরায়েলি অভিযানের ওপর কিছুটা মধ্যপন্থী প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছে।
গত ৩০ বছরের মধ্যে আব্রাহাম চুক্তির অধীনে ২০২০ সালে মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী বিশিষ্ট আরব দেশ ছিল আমিরাত। দেশটি এই পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অন্যান্য আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ প্রশস্ত করে দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অনেকটাই ভেঙ্গে দেয়।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ক্রমশ মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। দেশটির কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন এবং বারবার সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে আমিরাতের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের তাত্ক্ষণিক অগ্রাধিকার ছিল একটি যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং মানবিক করিডোর চালু করা।
উপসাগরীয় তেল সমৃদ্ধ আরব দেশগুলো আঞ্চলিক বিষয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
সূত্র চারটি রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি আমিরাত বর্তমানে চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আরব দেশগুলোর নেওয়া পদক্ষেপকে নিরপেক্ষ করা। উদ্দেশ, যুদ্ধ শেষে আমিরাত যেন ইসরায়েলের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় ফিরে আসতে পারে।
শেখ মোহাম্মদ বৃহস্পতিবার আবুধাবিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে গাজায় দ্রুত মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করেছেন। কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সীমিত সংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
শেখ মোহাম্মদ তাদের আলোচনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, ‘আমিরাত এবং কাতার এই অঞ্চলে একটি ন্যায্য, দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যাপক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে অগ্রসরে জোর দিতে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।’
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, গত তিন বছরে ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক গড়ে ওঠা সত্ত্বেও গাজা হামলা বন্ধ করার ক্ষেত্রে সফল হতে পারেনি আমিরাত। হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ এই সপ্তাহে বলেছেন, ওয়াশিংটনকে দ্রুত সংঘাতের অবসান ঘটাতে হবে এবং শরণার্থী, সীমান্ত ও পূর্ব জেরুজালেমকে সম্বোধন করে কয়েক দশক পুরনো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us