প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালে ‘টিলাগাঁওয়ের আলকাছ এখন দুবাইয়ে দালাল চক্রের মূল হোতা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুলাউড়ার টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসী আলকাছ মিয়া। নিজ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, ওই প্রতিবেদক তার নিজ সম্পাদিত অনলাইন পোর্টালে সম্পূর্ণ মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেছেন।আলকাছ মিয়া বলেন, তিনি (ওই প্রতিবেদক) আমার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে একেক সময় একেক শিরোনামে সংবাদের লিংক পাঠিয়ে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত ভয়েজের মাধ্যমে অকথ্য ভাষায় কথা বলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
প্রবাসী আলকাছ মিয়া আরো বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রহিম জুয়েলকে ২০২১ সালের এপ্রিলের শেষ নাগাদ তিনি আরব আমিরাত নেন। জুয়েলের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠায় পরবর্তীতে তার আরেক মামাতো ভাই পায়েলকেও তিনি ওই একই দেশে নেন। জুয়েল এবং পায়েলের কাছে বিদেশ নেওয়ার খরচ বাবৎ তিনি এখনো বাংলাদেশী টাকার হিসেবে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা পান। তিনি তার ওই পাওনা টাকার জন্য জুয়েলকে একাধিকবার চাপ দেওয়ায় দিচ্ছেন বলে সময় পার করে নেন। একপর্যায়ে জুয়েল রোমানিয়া যেতে রাজনগর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল মোহিতের সাথে যোগাযোগ করেন এবং আমাকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রেখে প্রায় ৩ মাস আগে আব্দুল মোহিতকে দুই হাজার দেরহাম দেন। আব্দুল মোহিত, জুয়েলকে রোমানিয়ার সুযোগ সুবিধা দিতে না পারার বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে আমি নিজ উদ্যোগে মোহিতের সাথে যোগাযোগ করে চলতি ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ রাতে জুয়েলের টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দেই।
অন্যদিকে জুয়েলের কাছে আমি আমার প্রাপ্য টাকার জন্য চাপ দিলে সে বরং প্রাপ্য টাকা না দিয়ে উল্টো আমার কাছে সে তার পাওনা টাকা বলে দাবী করছে। সে বিদেশ থেকে ভুল তথ্য দিয়ে রাতারাতি আমার বিরুদ্ধে সংবাদও ছাপিয়েছে। আর ওই প্রতিবেদক আমার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে প্রকাশিত সংবাদগুলোর লিংক পাঠাচ্ছেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ওই প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে প্রথমে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর পরপরই আব্দুর রহিম জুয়েলের পাওনা টাকা পরিশোধ করলে তিনি খুশি হবেন বলে আমাকে ভয়েজ দেন। অন্যথায় ছবি সহ আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের এবং আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। র্যাব ও দুদকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঠিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।
দেশে থাকা আমার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দেওয়ায় তারাও বাড়িতে আতঙ্কে রয়েছেন। আমিও মান সম্মানের ভয়ে প্রবাসে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। আলকাছ মিয়া আরো বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর যাবৎ তিনি প্রবাসে রয়েছেন। তিনি বর্তমানে টিলাগাঁও ইউনিয়ন প্রবাসী সামাজিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবী করে তিনি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us