রমজানে জাকাত প্রদানে দ্বিগুণ সওয়াব।

প্রকাশিত: ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৪

রমজানে জাকাত প্রদানে দ্বিগুণ সওয়াব।
booked.net

Manual7 Ad Code

ধর্ম ডেস্ক:- মাহে রমজানে রোজা পালন মানুষকে দানশীলতা, বদান্যতা, উদারতা ও মহত্তে¡র শিক্ষা দেয়। কোনো প্রকার অপচয় না করে রোজার মাসে মানুষের সেবায় দান-সদকা করলে অভাবক্লিষ্ট মানুষের কল্যাণ হয় এবং মানবতা উপকৃত হয়।

Manual7 Ad Code

আর এ মাসে দান করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যায় তাই রমজানে জাকাত ও দানের ওপর মানুষ বেশি গুরুত্ব দেয়। রমজানে বাড়তি দানের ফজিলত ও তাৎপর্য-রমজান মাসে দান করলে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সমগ্র মানবকুলের মধ্যে সর্বাধিক উদার ও দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে যখন হজরত জিবরাইল (আ.) নিয়মিত আসতে শুরু করতেন, তখন তাঁর দানশীলতা বহুগুণ বেড়ে যেত। (বুখারি)

হজরত আনাস (রা.) বলেছেন, ‘আমি নবি করিম (সা.)-এর চেয়ে কাউকে অধিকতর দয়ালু দেখিনি।’ (মুসলিম) হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আছে, ‘আল­াহ পাক বলেছেন, হে আদম সন্তান! তুমি দান করতে থাক, আমিও তোমাকে দান করব।’ (বুখারি ও মুসলিম) মাহে রমজানে দানের ফজিলত অনেক বেশি। অন্য ১১ মাসের তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সদকা করা উচিত।

Manual6 Ad Code

রাসূলুল্লাহ (সা.) তার উম্মতদের বাস্তব শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে রমজান মাসে দান-দক্ষিণা ও বদান্যতার হাত বেশি করে প্রসারিত করতেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন কৃপণ আবেদের চেয়ে একজন মূর্খ দানশীল ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।’ আর যে ব্যক্তি রমজান মাসে দান-সদকা করে সে সাধারণ সময়ের দানের চেয়ে বহুগুণ বেশি সওয়াব পাবে।

Manual5 Ad Code

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘রমজান মাসে এক দিরহাম দান-খয়রাতের বিনিময়ে সহস্র দিরহামের পুণ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।’ মাহে রমজানকে সহানুভ‚তির মাস বলা হয়েছে। এ মাস সমাজের গরিব-দুস্থদের প্রতি অর্থ দ্বারা সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস। প্রতিটি রোজাদার রোজা রাখার মাধ্যমে খাদ্য-পানীয়র অভাবে গরিব-দুঃখী ও দরিদ্র-অসহায় লোকদের কষ্ট অনুভব করে থাকেন। এজন্য তাদের মধ্যে দানের প্রবণতা সৃষ্টি হয়। ফলে সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তি রোজা পালনের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদ গঠনে গরিব-দুঃখী, দুস্থ, অভাবী, এতিম, মিসকিন ও কপর্দকহীন পথচারীকে প্রয়োজনে অর্থ বণ্টন করে দেবেন। তারা ক্ষুধার্ত হলে প্রয়োজনে তাদের সেহরি-ইফতারের বন্দোবস্ত করবেন, এটা মাহে রমজানে দানশীলতা ও বদান্যতা প্রদর্শনের সুবর্ণ সুযোগ।

তাছাড়া সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর জাকাত এমনিতেই ফরজ হয়। বছরের যে কোনো সময় নেসাব পূরণ সাপেক্ষে তা আদায় করা যায়। তবে রমজানের দিগুণ সওয়াব পেতে অনেকে রমজানেই তা আদায় করে থাকেন। এতে জাকাতও আদায় হয়, সওয়াবও বেশি হয়। তাই যাদের ওপর জাকাত ফরজ হয়েছে, রমজানেই আমরা তা আদায়ে সচেষ্ট হব।

Manual6 Ad Code

Ad

Follow for More!