প্রকাশিত: ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টঃ- কুলাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে মানুষজন হ্যামিলনের বাশি ওয়ালার মতো যাদের পিছু নিতো তারা হলেন বহুল আলোচিত-সমালোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও এম এম শাহীন। একসময় তাদের দুজনেরই ছিলো পাহাড়সম জনপ্রিয়তা। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলে তাদেরকে নিয়ে ভাবতে হতো এখানকার সাধারণ ভোটারদের। তাদের যেমন আছে পরস্পরকে হারিয়ে এমপি হওয়ার ইতিহাস তেমনি আছে প্রতীক বদলের রূপকথা। যে কারণে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে তারা দুজনই এখন আলোচিত-সমালোচিত ও বিতর্কিত নাম।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান এমপি। অপরজন ঠিকানা গ্রুপ অব মিডিয়ার চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এম এম শাহীন। কুলাউড়ার নির্বাচনি মাঠে গত তিন দশকের চির প্রতিদ্বন্দ্বী। এই দুই এমপি এখন ভিন্ন এক লড়াইয়ে নেমেছেন। তারা দুজনই বর্তমান নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান। যে কারণে ভোটারদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল জল্পনা-কল্পনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে কোন দলের প্রার্থী হচ্ছেন তা দেখার অপেক্ষায় স্থানীয় লোকজন ও ভোটাররা।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর গণফোরামের মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এম এম শাহীন ছিলেন বিকল্পধারার প্রার্থী প্রতীক নৌকা। ওই নির্বাচনে সুলতান মনসুর বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাত্র ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী এম এম শাহীন কে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে বর্তমান এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিলে আমি নির্বাচন করবো। অন্য কোনো প্রতীক নিয়ে নয়। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার বিষয়ে সুলতান মনসুর বলেন, নেত্রীর অনুমতি নিয়ে আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবো।
সাবেক এমপি এম এম শাহীন জানান, আমি বিকল্পধারার প্রার্থী হিসেবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছিলাম। সেই নির্বাচনের বিভিন্ন ঘটনা সহ আমার পুরো বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানেন। এ বছরও বিকল্পধারা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে সেটা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। নৌকা প্রতীক পাওয়ার ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক এমপি আব্দুল মতিন, ২০০৮ সালের মহাজোট প্রার্থী এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমেদ সলমান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের প্রাক্তন সার্জেন্ট এট আর্মস সাদরুল আহমেদ খান, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, ডাঃ রুকন উদ্দিন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
কুলাউড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসন গঠিত। এখানে ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজার ২১২। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৯ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৩ জন।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us