রানীর শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাজ্য জুড়ে বইছে শোকের বন্যা।

প্রকাশিত: ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২

রানীর শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাজ্য জুড়ে বইছে শোকের বন্যা।
booked.net

Manual5 Ad Code

অনলাইন ডেস্কঃ- ব্রিটিশ সিংহাসনে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আসীন ও বিশ্বের প্রবীণতম রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই নিয়ে যুক্তরাজ্য জুড়ে বইছে শোকের বন্যা। ধারণা করা হচ্ছে, রানীর শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর হতে পারে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

২০০২ সাল ছিল রানীর উদযাপন এবং দুঃখের বছর। প্রথমে তার বোন এবং পরবর্তীতে তার মা মারা যান। শোক প্রকাশ করার মতো সময় রানীর হাতে খুবই কম ছিল। হাজার হাজার মানুষ তখন তার সিংহাসনে আরোহণের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছিল। সে বছর’ই পল-ব্রুনেলের মামলা খারিজ হয়ে যাবার পর উদযাপনের ওপর কালো ছায়া পড়ে। পল-ব্রুনেল ছিলেন রাজপরিবারের ভৃত্য। তিনি পরবর্তীতে ডায়ানার প্রধান ভৃত্য হয়েছিলেন।

Manual3 Ad Code

রাজ পরিবারের সম্পদ চুরির দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। মুক্তি পাবার পর পল-ব্রুনেল ঘোষণা করেন, ‘রানী আমার জন্য এসেছেন।’ তিন বছর পরে প্রিন্স চার্লস ক্যামিলা পার্কারকে বিয়ে করেন।

Manual2 Ad Code

রানী সে বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেন নি। তবে তাদের আশীর্বাদ করার জন্য তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলে উপস্থিত ছিলেন। আরও কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ছিল। যেমন- রানীর ৮০তম জন্মদিন, ৬০তম বিবাহ বার্ষিকী, আয়ারল্যান্ডে ঐতিহাসিক সফর, এক সময়ের আইআরএ নেতা এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেপুটি ফার্স্ট মিনিস্টার মার্টিন ম্যাকগিনিসের সঙ্গে করমর্দন, প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল রানীর ডায়মন্ড জুবিলি। রানি ভিক্টোরিয়ার পরে রানি এলিজাবেথই একমাত্র ডায়মন্ড জুবিলি পালন করতে পেরেছেন।

Manual6 Ad Code

২০১৩ সালে তার নাতির ছেলের জন্ম হয়। গত একশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনের তিনজন সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী একই সঙ্গে জীবিত আছেন।

এর দুই বছর পরে রানী ভিক্টোরিয়ার রেকর্ড ভেঙ্গে দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রানী হন। রানী অবশ্য বলেছিলেন, এটা এমন কোন রেকর্ড নয় যেটা তিনি ভাঙার ইচ্ছে পোষণ করেছেন।

Manual3 Ad Code

তার বন্ধুরা বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে প্রাসাদের ভেতরে তিনি ছিলেন খুবই বিনয়ী এবং তার রসবোধ ছিল। তিনি ছিলেন এমন একজন নারী যাকে দেখে সমীহ জাগতো এবং একই সঙ্গে তার হাসির মাধ্যমে দ্যুতি ছড়াতে পারতেন।মাঝে মধ্যে মনে হতো তার সময় কালটি ছিল রোলার কোস্টারের উত্থান-পতনের মতো।

এদিকে তার সমালোচনা কারীরা মনে করতেন, তিনি ছিলেন নাগালের বাইরে এবং তার কাছে যাওয়া যেতো না। কিন্তু তার অগণিত ভক্তরা বলেন, তিনি কখনো জনগণের শ্রদ্ধা হারান নি। উইন্ডসর ক্যাসেলের অন্য সদস্যদের যেভাবে কেলেঙ্কারি স্পর্শ করেছে সেটি রানীর ক্ষেত্রে হয়নি।

Ad

Follow for More!