কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বেডের করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু।

প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২১

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বেডের করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু।
booked.net

আব্দুল কুদ্দুসঃ- কুলাউড়ায় প্রতিদিন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে প্রতিদিন গড়ে ৪৩ জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে করোনা ইউনিট। গত সোমবার (২ আগস্ট) সকাল থেকে ২০টি বেড নিয়ে চালু হয় করোনা ইউনিট।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ইউনিট চালুর সরকারি নির্দেশ পেয়ে গত ৩১ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতালের পুরাতন ভবনের উত্তরপাশে পুরুষ ওয়ার্ডেই করোনা ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। করোনা ইউনিটের ২০টি বেডে পজিটিভ রোগী ভর্তি করা হচ্ছে।

বুধবার (৪ আগস্ট) পর্যন্ত করোনা পজেটিভ ১৩ জন পুরুষ ও নারী ভর্তি হয়েছেন বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র আরো জানায়, করোনা ইউনিটে প্রধান সেবা হিসেবে রয়েছে অক্সিজেন সেবা। প্রতি রোগীকে সর্বোচ্চ ৩ লিটার করে অক্সিজেন সেবা দেওয়া যাবে। এর বেশী প্রয়োজন হলে জেলা সদর হাসপাতালে রোগীকে প্রেরণ করা হবে। কুলাউড়া হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ৩টি শিফটে চিকিৎসক ও নার্সরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।

ইতিমধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিট পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ফেরদৌস আক্তার, আরএমও ডা. মো. জাকির হোসেন ও থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকির হোসেন মুঠোফোনে জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবা দিতে হাসপাতালে করোনা ইউনিট সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা করোনা পজেটিভ রোগীদের সেবা দিতে কোন ধরনের অবহেলা করবেন না। বর্তমানে ২০টি বেডেই পজেটিভ রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদানে দেশ ও প্রবাসের অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। এগিয়ে আসা এইসব শুভাকাঙ্কিদের সিলিন্ডার প্রদানের পাশাপাশি এগুলো রিফিলের ব্যবস্থা করার আহবান জানিয়েছেন পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন- একজন রোগীর জন্য ১দিনে প্রায় ১৫/২০টি সিলিন্ডারের প্রয়োজন হবে। এগুলো রিফিল করতে ব্যয়ভার বহনের ব্যবস্থা করে দিলে করোনা রোগী পরিপূর্ণ সেবা পাবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad