প্রকাশিত: ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২২
আব্দুল কুদ্দুসঃ- প্রায় দেড় বছর থেকেই সচিব সংকটে কুলাউড়ার তিন ইউনিয়নের সাধারণ লোকজন। মূল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সচিবরা পদশুন্য এই তিন ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন সাধারণ লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর থেকে সচিব নেই। সচিব পদশুন্য ইউনিয়ন হলো- উপজেলার হাজীপুর, কুলাউড়া সদর ও কাদিপুর ইউনিয়ন। বদলিজনিত কারণেই এই তিন ইউনিয়নের সচিব পদশুন্য হয়।
সেবা গ্রহীতাদের অনেকেই জানান, স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। যেখানে দৈনন্দিন সেবা নিতে আসা শতশত লোকের ভীড়ে সরগরম থাকে এই প্রতিষ্ঠানটি। ইউনিয়ন পরিষদকে অধিকতর কার্যকর ও শক্তিশালী করতে পরিষদের হিসাবসহ সনদ প্রদান, প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্র সংরক্ষণ, অফিস ব্যবস্থাপনা, বাজেট তৈরী, বিচারমূলক কার্যক্রমে সহায়তা, প্রকল্প প্রণয়ন ও বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচিবরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিন্তু তিন ইউনিয়নে সচিব না থাকায় একসাথে ৬টিতেই এর প্রভাব পড়ছে। মন্থর গতিতেই এসব ইউনিয়নে চলছে কার্যক্রম। সপ্তাহের ২-৩দিন একেক ইউনিয়নে সময় দেন সচিবরা। এরমধ্যেও আবার সরকারি কাজে জেলা কিংবা উপজেলা সদরেও যেতে হচ্ছে তাদের। এতে করে একদিকে যেমন অধিক কাজের বোঝা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা অন্যদিকে কাঙ্খিত সেবা বঞ্ছিত হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। স্থানীয় অনেকেই জানান, একটি ইউনিয়নে একজন সচিবের ২-৩দিন সময় দেওয়া যথেষ্ট নয়। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস অফিসে উপস্থিত না থাকলে সেবাগ্রহীতারা প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্ছিত থাকবেন। আর এতে করে স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী ও কার্যকর হবেনা।
সূত্র জানায়, উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন টিলাগাঁও ইউপির সচিব মো. তাজুল মিয়া, বরমচালের রকিবুর রহমান কাদিপুরে এবং জয়চন্ডি ইউপির সচিব আব্দুল বারী কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
টিলাগাঁও ইউপির সচিব মো. তাজুল মিয়া জানান, তার মূল কর্মস্থল টিলাগাঁও ইউনিয়নে। সরকারি নির্দেশনায় তাকে হাজীপুর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তিনি জানান, হাজীপুরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের সময় টিলাগাঁও ইউনিয়নের লোকজনও অনেক সময় সেখানে তার স্বাক্ষর নিতে ভীড় করেন। আর টিলাগাঁওয়ে দায়িত্ব পালনকালীন সময়েও হাজীপুরের লোকজন আসেন। এতে করে কাজে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।
কুলাউড়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ একটি পরিবার। সেই পরিবারের কর্তা চেয়ারম্যান আর পুরো বডি হচ্ছেন সচিব। অর্থাৎ সচিব হচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু। সেদিক বিবেচনায় আমার ইউনিয়নে একজন পূর্ণ সচিব একান্ত প্রয়োজন।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, আমি নতুন যোগদান করায় এই বিষয়টি জানতাম না। এর সমাধানে শীঘ্রই জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে আলোচনা করব।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us