হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন রাকিব।

প্রকাশিত: ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ১১, ২০২৫

হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন রাকিব।
booked.net

Manual5 Ad Code

খেলা ডেস্ক :- দেশের ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরেই এমন উন্মাদনা দেখা যায়নি, যা একটি ম্যাচকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল। জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রত্যাশা ও উত্তেজনার বাতাবরণ ছিল অতুলনীয়।

Manual3 Ad Code

 

প্রথমার্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলাররা শক্তিশালী সিংগাপুরের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিল। ম্যাচের ৪০ মিনিট পর্যন্ত পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের হাতে। এ সময়ে অনেক দর্শক বিশ্বাস করেছিলেন, হামজা, তপু বর্মণ ও অভিষিক্ত শোমিত সোম মিলে দেশের ফুটবলের ইতিহাসে স্মরণীয় এক মুহূর্ত সৃষ্টি করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি আর হয়নি। বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।

Manual6 Ad Code

 

এমন হারের পরে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন রাকিব হোসেন। দর্শকদের হতাশ করার বিষয়টি স্বীকার করে এই ফুটবলার বলেছেন, ‘সকলে যেটি (বাংলাদেশের জয়) চেয়েছিলেন, সেটি হয়নি। আশা করি দর্শকরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। সামনে হংকং ম্যাচ রয়েছে, সেখানে ভালো কিছু হবে আশা করি।’

 

মধ্যমাঠ থেকে তপু বর্মণ এবং নতুন তরুণ শোমিত সোম একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও আক্রমণভাগের রাকিব ও ফাহমিদুল তা কাজে লাগাতে পারেননি। উলটো প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সিংগাপুরের সং উই ইয়ংয়ের এক দুর্দান্ত গোলের ফলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই মুহূর্তে গ্যালারিতে নেমে আসে নিস্তব্ধতা।

 

Manual3 Ad Code

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ সমতায় ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে সিংগাপুরের আক্রমণে আরো গতি বাড়ে। ৫৯ মিনিটে ইকসান ফান্দির গোলের মাধ্যমে সিংগাপুর ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। ফান্দির নেওয়া শট বাংলাদেশ গোলকিপার মিতুলের কাছে প্রতিহত হলেও পরের সুযোগে বলটি জালে জড়িয়ে যায়। গোলের সময় তপু বর্মণ গোলরক্ষকের পাশে থাকা উচিত ছিল, কিন্তু ভুল জায়গায় থাকার কারণে গোলরোধ সম্ভব হয়নি।

 

এরপরে বাংলাদেশের আক্রমণ আরো জোরালো হয়। ৬৭ মিনিটে হামজা চৌধুরীর তৈরি করা সুযোগ থেকে রাকিব হোসেন অবশেষে গোল করতে সক্ষম হন এবং বাংলাদেশের একমাত্র গোলটি করেন।

 

Manual8 Ad Code

শেষ দিকে ম্যাচে তৈরি হয় চরম নাটকীয়তা, একাধিক কর্নার কিক থেকে গোলের সুযোগও তৈরি হয়, এমনকি রেফারির শেষ বাঁশি বাজার আগে শাহরিয়ার ইমন দুর্দান্ত একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তার হেড গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়রা হতাশ হলেও দেশের ফুটবলের জন্য লড়াই ও সাহসিকতার এই প্রদর্শনী ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো জ্বালায়।

 

Ad

Follow for More!