প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:- কুলাউড়া উপজলা মৎস্য অফিস থেকে হাকালুকি হাওরের আরও ১১টি বিলকে অভয়াশ্রমের আওতায় আনার জন্য প্রস্তাবনা করা হয়েছে। প্রস্তাব করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মােহাম্মদ আবু মাসুদ। প্রস্তাবিত বিলগুলাে হলাে- হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া উপজেলা অংশের মেদি বিল, পানি খাওয়া বিল, কছমা বিল, সিংকুড়ি বিল, শ্রীকষ্টি বিল, শশাবিল, মহিষমারা বিল, গৌড়কুড়ি বিল, হাওয়া বর্নী ফুট বিল, চাপড়া বিল ও ফাটা চাপড়া বিল।
কুলাউড়া উপজলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ১১টি বিলকে অভয়াশ্রমের আওতায় নিয়ে আসলে হাকালুকির জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও হাওর তীরের মানুষের জীবনমান উনয়নে সহায়ক হবে। তবে হাওর তীরের বাকি উপজেলাগুলাে এগিয়ে এলে হাওরের ইকােসিষ্টেমের আরও উনয়ন হবে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলা ইসিএ কমিটির সভায় হাকালুকি হাওরের উনয়ন এবং হাওর তীরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক আলােচনা হয়। ১৯৯৯ সালে হাকালুকি হাওরকে ইকােলজিকেল ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) হিসেবে ঘােষণা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এরপর থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা হাওর উন্নয়নের নামে কােটি কােটি টাকা ব্যয় করলেও প্রকৃত অর্থে হাওরের কিংবা হাওর তীরের মানুষের কােন উন্নয়ন হয়নি। সকল অর্থই হাওরের জলে ভেসে গেছে।
সিনিয়র উপজলা মৎস্য কর্মকর্তা মােহাম্মদ আবু মাসুদ জানান, হাকালুকি হাওরকে রক্ষার এখনই মােক্ষম সময়। হাওর তীরের বাকি ৪টি উপজেলার মৎস্য বিভাগও এগিয়ে আসা উচিৎ। হাওরে যদি অর্ধশত অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে হাকালুকি থেকে মাছ বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। তবে প্রস্তাবিত বিলগুলােকে ইজারার আওতায় নিতে গেলে কিছুটা উন্নয়ন ব্যয় করতে হবে। যেমন বিলগুলােকে খনন করে বিলের গভীরতা বাড়াত হবে। এসব বিল যাতে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে কেউ জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে না পারপ তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব প্রস্তাবনাও তিনি করছেন।
তিনি আরও জানান, এতে করে শুধু মাছের উৎপাদনই বাড়বে না স্বয়ংক্রিয়ভাব হাওরের ইকােসিষ্টেম রক্ষা পাবে। অতিথি পাখির আনাগােনা বাড়বে। সর্বােপরি হাওরের উপর নির্ভরশীল মানুষর জন্য বিকল্প জীবিকায়নের চিন্তা করা লাগবে না।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us