বরকতময় বন্ধন হলো স্বামী- স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন।

প্রকাশিত: ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২

বরকতময় বন্ধন হলো স্বামী- স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন।
booked.net

Manual6 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

ভালোবাসার বন্ধনগুলোর মধ্যে অন্যতম বরকতময় বন্ধন হলো স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন যা হজরত আদম ও হাওয়া (আ.) থেকে শুরু হয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা চলমান থাকবে। তাই, এমন মধুর সম্পর্কের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয় সে জন্য ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলা এবং হেকমত অবলম্বন করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দাম্পত্য জীবন যেহেতু একটি দীর্ঘ পথচলা তাই, এতে ভালো-মন্দ, হাসি-খুশি, রাগ-অভিমান ইত্যাদির উপস্থিতি একটি স্বাভাবিক বিষয়।

Manual5 Ad Code

অতএব, ইসলামের হুকুম মেনে চলার পাশাপাশি দাম্পত্য জীবন সুখের করতে কিছু টিপস অনুসরণ করা যেতে পারে যাতে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। মনে রাখতে হবে, শয়তানকে কখনোই সুযোগ দেওয়া যাবে না।

সুখী দাম্পত্যের জন্য স্বামী যে কাজগুলো করতে পারেন তাহলো-প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে ঘরে প্রবেশ করেই স্ত্রীর সঙ্গে সালাম বিনিময় করবেন। এতে করে স্ত্রী স্বামীর প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল হবেন। বের হওয়ার সময় হাত কিংবা কপালে একটি চুমো দিয়ে ভালোবাসা নেবেন। এরূপ করাতে ভালোবাসার গভীরতা আরও বৃদ্ধি পায়।

Manual1 Ad Code

স্ত্রীকে বেশি বেশি সময় দিন। এতে করে দূরত্বের ফাটল সৃষ্টি হবে না। স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে ইমান জাগানিয়া ও ভালোবাসার গল্প করলে উভয়ের মাঝ থেকে নিঃসঙ্গতা দূর হবে। যদি পারেন কুরআন পাঠ করে শুনান। মধ্য রাতে তাহাজ্জুদে উঠলে স্ত্রীকেও ডেকে তুলুন। এতে করে আরও স্ত্রীর ধার্মিকতা বাড়বে এবং পরস্পরের প্রতি সুধারণা জন্মাবে। কাজের ফাঁকেও স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসি দেওয়া ভালো। এমনকি স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করা সুন্নাত। স্ত্রীর অসুস্থতায় পাশে থেকে সেবা শুশ্রুষার পাশাপাশি তাকে সাহস দেওয়া ও তার নিঃসঙ্গতা দূর করা একান্ত অপরিহার্য। দূরে কোথাও বের হলে একাকিত্ব দূর করতে ঘন ঘন ফোনে আলাপ করা উত্তম।

বাহির থেকে ফেরার সময় স্ত্রীর জন্য ছোট্ট কিছু পকেটে করে নিয়ে আসতে পারেন। খেতে বসলে স্ত্রীর পান করা অবশিষ্ট পানি পান করলে ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। স্ত্রীর করা রান্নার প্রশংসা করুন। একসঙ্গে খেতে বসলে স্ত্রীর মুখে খাবারের লোকমা তুলে দিন। রাসূল (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-এর খাওয়া অবশিষ্ট মাংসের অংশ চুষে খেতেন। আয়েশা (রা.) যে পাশ থেকে পান করতেন রাসূল (সা.)ও একই পাশ থেকে পান করতেন। এটাই স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার শিক্ষা। সকাল-সন্ধ্যায় একবার হলেও বলুন ‘আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি’। এমন কোনো আচরণ প্রকাশ করবেন না যাতে স্ত্রীর মাঝে স্বামীর প্রতি অনিহা চলে আসে। আর হ্যাঁ, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো অন্য কোনো বেগানা নারীর সঙ্গে সম্পর্কে না জড়ানো।

ছবিঃ- ইন্টারনেট।

Manual6 Ad Code

Ad

Follow for More!