প্রকাশিত: ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২২
স্পোর্টস ডেস্কঃ- ইতালির সার্দিনিয়া শহরে চলতি মাসের ১১-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব জুনিয়র দাবায় অংশ নেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েও খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের! দাবাড়ুরা ইতালিতে গেলে পালিয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় ভিসা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন দাবা ফেডারেশনের সদস্য ও টিম লিডার মাহমুদা চৌধুরী।
ফিদের তালিকাভুক্ত অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের টুর্নামেন্টের উক্ত আসরে অংশ নিতে দুজন ছেলে ও পাঁচজন মেয়ে দাবাড়ুর ভিসার আবেদন করা হয়। কিন্তু কাউকেই ভিসা দেওয়া হয়নি। এমনকি বাংলাদেশের আবেদনের কোনো গুরুত্ব’ই দেওয়া হয়নি বলে জানান মাহমুদা চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ‘সব কাগজপত্রই আমরা দূতাবাসে জমা দিয়েছিলাম। বিস্তারিত জানিয়ে বিশ্ব দাবা সংস্থা ফিদে থেকে চিঠিও দেওয়া হয় দূতাবাসে। সেই চিঠির কোনো গুরুত্বই দেয়নি তারা।’ কোন উপায় না দেখে ঢাকায় ইতালির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মাহমুদা। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি, উল্টো হতাশ হতে হয় তাকে।
দাবা ফেডারেশনের এই কর্মকর্তা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘আমার সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলতে চাননি রাষ্ট্রদূত।’ তারা বলছেন, ‘বাংলাদেশিরা ইতালি গেলে আর ফিরে আসে না, তাই বাংলাদেশের দাবা দলকে ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। আর কোনো কাগজপত্র বা কেউ সুপারিশ করলেও কাজ হবে না! জীবনে কখনও এমন অভিজ্ঞতা আর হয়নি।’
দেশের বাইরের টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মাহমুদা বলেন, ‘এর আগে আমরা ইউরোপ, আমেরিকা সহ অনেক দেশে দল নিয়ে গিয়েছি। কোথাও সমস্যা হয়নি। বরং সব ক্ষেত্রে সম্মানের সঙ্গে দ্রুত ভিসা পেয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি একটা ভ্রান্ত ধারণা থেকে ইতালি আমাদের ভিসা দেয়নি, যা দুঃখজনক।’
জানা যায়, বিশ্ব জুনিয়র দাবায় বাংলাদেশ থেকে সাত জন খেলোয়াড় এর মধ্যে দুজনের খরচ দেওয়ার কথা ছিল দাবা ফেডারেশনের। অন্যরা নিজ দল ও পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে খরচ জোগাড় করেন। ঢাকা থেকে ইতালির টিকেট কাটা হয়। রোম থেকে ভেন্যুতে যাওয়ার বিমানের অফেরতযোগ্য টিকেটও কাটা হয়েছিল। এ ছাড়া ভিসা ফি সহ আর কিছু খরচ হয়েছে। ভিসা না পাওয়ায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ দাবা দলের।
ছবিঃ- ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দাবাড়ুরা।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us