প্রকাশিত: ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২২
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি যেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করে, এটাই তার প্রত্যাশা। পরস্পর মতভেদ এবং বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকে তিনি মোটেও পছন্দ করেন না। তাই আচার-ব্যবহারে অযথা রাগ ও ক্রোধ থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময় রাগ ও ক্রোধ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিতেন। তিনি মানুষকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন-‘যে ব্যক্তি নম্র-বিনয়ী হয়, মহান আল্লাহতালা তাকে উচ্চাসনে আসীন করেন আর যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে অপদস্থ করেন।’ (মিশকাত)কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মাঝে এমন একটি দল থাকা দরকার; যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে আর অসৎকাজ থেকে বারণ করবে। আর এরাই সফলকাম।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১০৪)
মূলত এটাই আল্লাহ তাআলা চান। আমাদের ভেবে দেখতে হবে আমরা কি আল্লাহ পাকের ইচ্ছা অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালনা করছি কি না; আমাদের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। আমরা কি শুধু মুখে একটা বলি আর করি অন্য কিছু? এমনটিই যদি হয় তাহলে আমরা আল্লাহর প্রিয় হতে পারি না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
‘তুমি প্রজ্ঞা ও সদুপদেশের মাধ্যমে তোমার প্রভু-প্রতিপালকের পথের দিকে আহ্বান জানাও। আর তুমি উত্তম যুক্তিপ্রমাণের মাধ্যমে তাদের সাথে তর্ক কর যা সর্বোত্তম। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।’ (সুরা আন-নাহল: আয়াত ১২৫) আলহামদুলিল্লাহ! আমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছি। তাই এর মর্যাদাও আমাদেরকে রক্ষা করে চলতে হবে। আমাদের আচার-আচরণ এবং পবিত্রতার মান উন্নত করতে হবে। অন্ধকারে নিমজ্জিত পথহারা মানুষকে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পতাকাতলে একত্রিত করার দায়িত্বও আমাদেরই নিতে হবে। কিন্তু এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনোভাবেই কারও প্রতি জোর-জবরদস্তি করা যাবে না বরং প্রজ্ঞা ও সদুপদেশের মাধ্যমে বুঝাতে হবে।
বিপথগামী মানুষকে অগ্নিগহ্বর থেকে রক্ষা করে প্রকৃত শান্তির ধর্ম ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয়ের সন্ধান দিতে হবে। পথহারা মানুষকে প্রকৃত ইসলামের ছায়াতলে আনতে হলে প্রথমে নিজের আমল-আখলাকে আনতে হবে পরিবর্তন। কেননা আমাদের নিজেদের আদর্শ যখন উন্নত হবে কেবল তখনই আমাদের দাওয়াতে অন্যরা প্রভাবিত হবে। নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দিয়ে আমরা যদি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা খারাপ কাজ করি তাহলে অন্যান্য ধর্মের লোকেরা এই কথা বলার সুযোগ পাবে যে, এরা মুসলমান, এরাই সন্ত্রাসী। নাউজুবিল্লাহ!
অথচ ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। ইসলাম কল্যাণের ধর্ম। একজন প্রকৃত মুসলমান সে কখনই সন্ত্রাসী এবং নৈরাজ্যকারী হতে পারে না। ইসলামের নামে যারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তারা মূলত সন্ত্রাসী, প্রকৃতপক্ষে তাদের কোনো ধর্ম নেই।
তাই আমরা যে যেখানে যেভাবেই থাকি না কেন বা যে কর্মই করি না কেন, আমাদের সবাইকে নিজ নিজ স্থানে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা তুলে ধরতে হবে এবং নিজেদের আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের কাজ-কর্মে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ ফুটিয়ে তুলতে হবে।
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের অনুসরণ ও অনুকরণে আমাদেরও হতে হবে নম্র ও বিনয়ী। অর্জিত হবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। তবেই মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের ভালোবাসবেন।আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us