প্রকাশিত: ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
নিউজ ডেস্কঃ- বছর কয়েক আগের ঘটনা এটি। দিল্লির চিড়িয়াখানায় বাঘ আর মানুষের ভাইরাল হওয়া সেই কাহিনিটি নিশ্চয় অনেকের মনে আছে। যেখানে একটি মানুষ হঠাৎ বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়ে। বাঘটি ১৫ মিনিট মানুষটির দিকে তাকিয়ে থাকে অতঃপর আশপাশের মানুষ ইট পাথর ছুড়ে মানুষটিকে বাঁচাতে চেষ্টা করে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বাঘটি মানুষটিকে মেরে ফেলে। এই পর্যন্ত আমরা সবাই জানি। কিন্তু ঘটনার ভেতরের ঘটনা আমরা অনেকেই জানি না।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি গবেষণা করে এক তথ্য বের করেছে। তারা মৃত ব্যক্তিটির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে এক দল বাঘ গবেষকের নিকট যায় এবং তাদের নিকট তদন্তের ভার দেয়। তারা বাঘটির ওপর স্টাডি এবং মৃত ব্যক্তির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে, বাঘটি আসলে মানুষটিকে মারতে চায়নি। বরং উল্টো যারা বাঘের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ছিল এবং চিৎকার চেঁচামেচি করছিল তাদের হাত থেকে মানুষটিকে রক্ষা করতে বাঘটি মানুষটিকে নিরাপদ স্থান অর্থাৎ, তার থাকার ঘরে নিয়ে যেতে চাইছিল।
বাঘটি মনে করেছিল, লোকটি ওইসব মানুষের হাত থেকে রক্ষা পেতে তার সামনে এসে পড়েছে। গবেষকরা আরো বলেন, একটি মা বাঘ তার সন্তানকে যেভাবে যে স্থানে ধরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যায়; এই বাঘটিও মানুষটিকে ঠিক সেভাবেই ধরেছিল। কিন্তু মানুষের শরীর নরম ও চামড়া পাতলা হওয়াতে লোকটির মৃত্যু ঘটে। গবেষকরা বলেন, মা বাঘ সাধারণত বাচ্চা বাঘের নাকের ছিদ্রে থাবা দিয়ে উঁচু করে ধরে। কিন্তু, বাঘের নাকের চামড়া অনেক বেশি পুরু ও পশম অনেক ঘন থাকায় বাচ্চার কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু মানুষের বেলায় ঠিক উল্টোটা হয়েছে।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us