চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে চার বছর ধরে নেই কোন আমদানি। কমেছে রপ্তানি।

প্রকাশিত: ১২:৪৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৫

চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে চার বছর ধরে নেই কোন আমদানি। কমেছে রপ্তানি।
booked.net

স্টাফ রিপোর্ট:- কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুরস্থ চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে রপ্তানি কমেছে। নেই কোন আমদানি। এই তথ্য জানিয়েছেন চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী পরিচালক নিকেতন চক্রবর্তী। তিনি আরো বলেন, গত চার বছর ধরে এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোনো পণ্য আমদানি হচ্ছে না।

 

এক তথ্যে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের পর থেকেই চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন ও অভিবাসন কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহর ও আগরতলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমদানি করা হতো বিভিন্ন ধরনের ফল, কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। যদিও ২০২০ সালের পর সেই বাণিজ্য অনেকটা থমকে গেছে।

 

এই স্টেশন দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মাছ, সিমেন্ট, প্লাস্টিক সামগ্রী, জুস সহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া ৫ আগস্টের পর ভিসা বন্ধ হওয়ায় দুই দেশের যাত্রী আসা যাওয়া আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

 

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে শুধু চিকিৎসা করাতে কিছু লোক ভারত যাচ্ছেন। তাও প্রতিদিন ৫/৬ জন করে। আত্মীয়তার বন্ধন থাকাতে একই পরিমাণ লোক ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছেন।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে যান চলাচলে ব্যস্ত রাস্তাটি একেবারেই নিরব। তবে মাঝে মধ্যে দু’একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।

 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানি বন্ধের পেছনে ডলার সংকট, অতিরিক্ত কর এবং ভারতীয় বাজারে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য না পাওয়াই এর মূল কারণ। এদিকে শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৪০০ টন মাছ, ৫০০ টন সিমেন্ট, ৫০ টন প্লাস্টিক পণ্য এবং আরও ৫০ টনের মতো অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। তবে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমদানির পরিমাণ শূন্যের কোঠায়। ২০২২ সালে চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন কে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরের জন্য সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

Ad