প্রকাশিত: ৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২৩
অনলাইন ডেস্কঃ- কম রানের পুঁজি নিয়েও আশা জাগিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে পারলো না আর, বলা যায় বাংলাদেশকে পারতে দিলো না এক ডেভিড মালান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের ৭ উইকেট ফেলে দিলেও টাইগার বোলারদের সামনে যেন ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন মালান। অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ইংলিশদের জয় এনে দিলেন ৩ উইকেটে। ২১০ রানের টার্গেটে এক মালানের সেঞ্চুরিতেই ৮ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে টাইগারদের হারিয়ে সিরিজে শুভসূচনা করলো থ্রি লায়নসরা।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহের আশা দেখিয়েও অল্পতেই থামে বাংলাদেশ। এক নাজমুল হোসেন শান্তর অর্ধশতকে ভর করে ইংল্যান্ডকে ২১০ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।
মাত্র ২১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই বিপদে পড়ে থ্রি লায়নসরা। সাকিবের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ৪ রানের মাথায় তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেসন রয়। পাওয়ার প্লে’র শেষের দিকে এসে ইংল্যান্ডের ইনিংসে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তাইজুল। দলীয় ৩৫ রানেই ফিল সল্টকে ফেরান দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে জার্সিতে ফেরা এই স্পিনার। এক ওভার বাদ দিয়ে ইংল্যান্ডকে আবারও ধাক্কা দেন তাইজুল। ইনিংসের ১৩তম ওভারে জেমস ভিনসকে ফেরান মাত্র ৬ রানেই। ৩ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের রান তখন ৪৫।
ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ১৭তম ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’। ১০ বলে ৯ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন বিপদজনক এই ব্যাটার।
৩৫ রানে ৪ ইকেট হারালেও বাংলাদেশের পথের কাটা হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন মালান, অভিষিক্ত উইল জ্যাকসের সঙ্গে মিলে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিতে থাকেন মালান। দুজন মিলে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। অবশেষে ২৬তম ওভারে জ্যাকসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের আশা ফিরিয়ে আনেন মেহেদি মিরাজ। ৩১ বলে ২৬ করে ফিরে যান জ্যাকস।
তবে ক্রিজের অপর প্রান্ত আগলে রেখে ইংলিশদের হয়ে লড়াই করে সেতে থাকেন মালান,। তুলে নেনে নিজের অর্ধশতকও। মঈন আলীর সঙ্গে মিলে গড়েন আরেকটি জুটি। ৩৫ তম ওভারে মঈনকেও ১৪ রানে ফেরান মিরাজ। ১৪১ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
৩৯ তম ওভারে ইংল্যান্ডকে আরেকবার ধাক্কা দেন ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত বোলিং করা তাইজুল। ওভারের শেষ বলে মিড-অন দিয়ে চিপ করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় উপরে। ঝাপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৬১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে ইংলিশদের আশার প্রদীপ হয়ে ৮০ রান নিয়ে তখনও উইকেটে টিকে আছেন মালান।
অষ্টম উইকেট জুটিতে আদিল রশিদকে সঙ্গে নিয়ে ইংলিশদের জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন মালান। তাসকিনের করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে তাসকিনকে বাউন্ডারি ছাড়া করে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। ১৩৪ বলে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় তিন অংকে পৌঁছান বাংলাদেশকে হার উপহার দেওয়া এই ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত আদিল রশিদকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়ে দলকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন মালান। ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ওয়াইড মিড-অন দিয়ে শান্তকে বাউন্ডারি ছাড়া করে দলের জয় নিশ্চিত করেন মালান। ১৪৫ বলে ৮ চার আর ৪ ছক্কায় ১১৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। আদিল রশিদ করেন ২৯ বলে অপরাজিত ১৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৫৪ব রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাইজুল, আর ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মিরাজ।
ছবি- হতাশায় সাকিব ও তামিম ইকবাল’রা।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us