যে কারণে আল্লাহ বান্দাকে সাময়িক ছাড় দেন।

প্রকাশিত: ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২১

যে কারণে আল্লাহ বান্দাকে সাময়িক ছাড় দেন।
booked.net

Manual4 Ad Code

 

Manual8 Ad Code

ডেস্কঃ- প্রতিদিন জানা অজানা কত পাপ কাজ’ই না করি আমরা কিন্তু এসবের জন্য আল্লাহ আমাদেরকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেন না বরং ছাড় দেন। তিনি এজন্যই ছাড় দেন যেন আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরে তাওবা করে সহজ সরল পথে চলার অঙ্গীকার করি।

আসলে আল্লাহ তার বান্দাকে শাস্তি প্রদানে অবকাশ দিতে থাকেন। কারণ যদি আল্লাহতায়ালা সর্বপ্রকার শাস্তি তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োগ করতেন তাহলে পৃথিবীর মানুষ অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। পাপের কারণে মানুষ অকালে শেষ হয়ে গেলে জীবজন্তু ও পশুপাখি বেঁচে থাকারও কোন প্রয়োজন থাকতো না।

মানুষের প্রয়োজনেই এদের সৃষ্টি। তাই মানুষের বিলুপ্তির সাথে সাথে অন্যান্য জীবজন্তুও নিশ্চিহৃ হয়ে যেত। এক কথায়, এ পৃথিবীই থাকতো না আল্লাহ হয়তো নতুন পৃথিবী এবং মানব সভ্যতাকে নতুন করে সৃষ্টি করতেন।

Manual7 Ad Code

যেভাবে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:- ‘আল্লাহ যদি মানুষকে তার অন্যায় কাজের কারণে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতেন তাহলে কোন প্রাণীকেই তিনি এ পৃথিবীতে জীবিত ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। তবে তাদের শাস্তির নির্ধারিত মেয়াদ যখন এসে পড়ে তখন তারা এক মুহূর্ত পিছনেও থাকতে পারে না এবং সামনেও এগুতে পারে না।’ (সুরা নাহল: আয়াত ৬১)

Manual5 Ad Code

তবে কোন জাতির শাস্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হয় তখন তা প্রতিহত, বিলম্বিত বা স্থগিত করা যায় না। শাস্তি যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়ে যায় তখন তাকে কেউ আর প্রতিহত করার শক্তি রাখে না।

যেভাবে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন: ‘আর প্রত্যেক জাতির জন্য একটি সময় নির্ধারিত আছে। অতএব তাদের নির্ধারিত সময় যখন এসে যায় তখন তারা তা থেকে এক মুহূর্ত পিছিয়েও থাকতে পারে না বা এগুতেও পারে না।’ (সুরা আরাফ: আয়াত ৩৪)

এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ জালিমকে অবকাশ দেন, তারপর যখন পাকড়াও করেন তখন আর কোনো ছাড় দেন না।’ (মুসলিম)

আল্লাহ আমাদেরকে অবকাশ দিচ্ছেন বলে আমরা যা ইচ্ছে তা করে যাব তা মোটেও ঠিক নয়। আমাদের উচিত সময় থাকতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

Manual1 Ad Code

মহানবী (সা.) যে দোয়া সব সময় করতেন সেই দোয়াটিও আমরা প্রতিনিয়ত করব, যাতে আল্লাহ আমাদের কে ক্ষমা করে তার কৃপার চাদরে আবৃত করে নেন।

তিনি (সা.) এ দোয়া পড়তেন- ‘আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি, ওয়াল ফাকরি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।’

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান কর। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান কর। আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান কর। তুমি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় গ্রহণ করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে। হে প্রভু-প্রতিপালক! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই কবরের আজাব থেকে। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।’ (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)

সৃষ্টিকর্তা তার বান্দাকে এজন্যই সাথে সাথে পাকড়াও করেন না যেন আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে সংশোধন করে সৎ পথে চলার অঙ্গিকার করি।

তাই আসুন, আল্লাহর শাস্তিতে পতিত হওয়ার আগেই তার কাছে সবিনয় ক্ষমা চাই। তওবা ও ইস্তেগফার করে নিজের মাঝে পবিত্র পরিবর্তন আনি। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে প্রকৃত অর্থে তাওবা করার শক্তি দিন।

Ad

Follow for More!