স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য জানার জন্য ভ্রমণের বিকল্প নেই।

প্রকাশিত: ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ, জুন ১০, ২০২২

স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য জানার জন্য ভ্রমণের বিকল্প নেই।
booked.net
Manual3 Ad Code

ভ্রমণ মানুষকে প্রফুল্ল করে তোলে। জীবনধারা থেকে একটু আনন্দ উপভোগ করতে হলে ছুটে যেতে হয় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। আল্লাহ তাআলা নিদর্শনস্বরূপ দুনিয়ায় অনেক নিয়ামত দান করেছেন তার বান্দাদের জন্য। স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য জানার জন্য ভ্রমণের বিকল্প নেই।

Manual7 Ad Code

আল্লাহ তাআলা এই পৃথিবীকে এবং পৃথিবীর সব প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন। সবকিছুই কৃত্রিম আর প্রকৃতিই হলো একমাত্র আল্লাহর তৈরি নিজস্ব শিল্প। পৃথিবী এবং আকাশ, বন, সমভূমি, হ্রদ ও নদীনালা, পর্বত—এই সমস্তই হলো সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষক, যা আমাদের উদারতার শিক্ষা দেয়, যেটি কোনো পাঠ্যপুস্তকে লেখা থাকে না।

ইসলামি শরিয়তে ভ্রমণের কিছু আদব-কায়দা রয়েছে, তা অনুসরণ করে চলাফেরা করলে ভ্রমণের ক্ষতি-দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা যাবে। যেমন—ভ্রমণে বের হওয়ার আগে কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে পরামর্শ করা, যে সফর সম্পর্কে অবগত এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ে বের হওয়া। ভ্রমণে বের হওয়ার সময় এই দোয়া পড়া, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি নাসআলুকা ফি সাফরিনা হাজাল বিররা ওয়াত তাকওয়া, ওয়া মিনাল আমালি মা তারদা, আল্লাহুম্মা হাউইন আলাইনা সাফরিনা হাজা, ওয়াতবি আন্না বু’দাহু, আল্লাহুম্মা আনতাস সাহিবু ফিস সাফরি ওয়াল খলিফাতু ফিল আহলি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ওয়াসা-ইস সাফরি, ওয়া কা-বাতিল মানজারি, ওয়া সু-ইল মুনকলাবি ফিল মালি ওয়াল আহলি।’ একা একা ভ্রমণ না করা। কমপক্ষে দুজন মিলে ভ্রমণ করা। যে কোনো যানবাহনে আরোহণের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া ইত্যাদি।

ভ্রমণ একটি আনন্দময় ইবাদত এবং জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার উৎস। সফর বা ভ্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পূর্ববর্তীদের কীর্তিকাহিনী ও পরিণতি সম্বন্ধে জানা এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না এবং তাদের পূর্ববর্তীদের কী পরিণাম হয়েছিল তা কি দেখে না? যারা মুত্তাকি তাদের জন্য পরলোকই শ্রেয়; তোমরা কি বোঝো না?’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত:১০৯)।

Manual2 Ad Code

আল্লাহতালা সকল মানুষ কে ভ্রমণ করার তৌফিক দান ও প্রতিটি দিন আনন্দময় করে  তুলুন । আমিন।

Manual1 Ad Code

ছবি- প্রতীকী।

Manual4 Ad Code

Ad

Follow for More!