স্বামীর অবাধ্য নারী সম্পর্কে রাসুল (সা.) এর হুঁশিয়ারি।

প্রকাশিত: ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২৩

স্বামীর অবাধ্য নারী সম্পর্কে রাসুল (সা.) এর হুঁশিয়ারি।
booked.net

Manual6 Ad Code

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা পুরুষকে নারীর অভিভাবকত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন। নারীর বিশেষ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। তবে নারীও পুরুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও বুদ্ধিসম্পন্ন হতে পারে। পবিত্র কোরআনে হযরত মরিয়ম (আ.) সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘পুরুষের চেয়ে এ নারীর মর্যাদা অনেক বেশি’। সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৩৬।

Manual8 Ad Code

বিয়ের আগে নারীর অভিভাক পিতা এবং বিয়ের পরে স্বামী। অভিভাবকের দায়িত্ব হলো, তার অধীনে থাকা নারীদের জীবন-মান-সম্পদ কোনো কিছুরই যেন ব্যাঘাত না ঘটে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা। হাদিস শরিফে নারীর অভিভাকত্বের বিনিময়ে জান্নাতের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে তার কন্যা বা বোনকে উত্তমরূপে লালনপালন করে দেখেশুনে সৎপাত্রস্থ করবে, বিনিময়ে তাকে জান্নাত দেওয়া হবে। একইসঙ্গে হাদিসে একথাও বলা হয়েছে, যে স্বামী স্ত্রীর যথাযথ অধিকার আদায় করে স্ত্রীর চোখে আদর্শ স্বামী হতে পারবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে সে আদর্শ মুমিন হিসেবে দাঁড়াবে।

তবে যেসব স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হয় এদের সম্পর্কে কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাসুল (সা.)। স্বামী তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার পরও কোনো স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয়, না-শোকরি করে- তবে এমন স্ত্রীকে জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন রাসুল (সা.)।

Manual2 Ad Code

বুখারি ও মুসলিম শরিফে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ শুরু হলে রাসুল (সা.) দীর্ঘ সময় নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সূর্যগ্রহণ শেষ হলে রাসুল (সা.) সালাত শেষ করে আমাদের বললেন, চন্দ্র ও সূর্য এগুলো আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শনসমূহের মধ্য থেকে দুটি নির্দশন। কারো মৃত্যুর কারণে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয় না। যখন তোমরা এমনটি দেখতে পাবে তখন বেশি বেশি আল্লাহর স্মরণ করো।

Manual4 Ad Code

সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মনে হলো নামাজের মধ্যেই আপনি কিছু ধরতে চাচ্ছিলেন। এর কারণ কী? জবাবে রাসুল (সা.) বললেন, আমার চোখের সামনে আল্লাহ জান্নাত নিয়ে এসেছিলেন। সেখান থেকে আমি এক কাঁদি ফল ছেঁড়ার চেষ্টা করছিলাম। আল্লাহর কসম! যদি ফল ছিঁড়তে পারতাম তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত তোমরা জান্নাতি ফল খেতে পারতে। এ কথার শোনার পর সাহাবিদের মধ্যে আনন্দের ঝিলিক ছড়িয়ে পড়ল।

এবার জাহান্নাম প্রসঙ্গে বলা শুরু করলেন রাসুল (সা.)। তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে জাহান্নামও দেখিয়েছেন। আজকের মত এত ভয়াবহ দৃশ্য আর কখনো দেখিনি। আমি দেখলাম, জাহান্নামীদের অধিকাংশই নারী।

সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এর কারণ কী? রাসুল (সা.) বললেন, নারীরা বেশি কুফরি করে থাকে। সাহাবিরা বললেন, তারা কি আল্লাহর কুফরি করে? জবাবে রাসুল (সা.) বললেন, না, তারা স্বামীর সঙ্গে কুফরি করে অর্থাৎ স্বামীর অবাধ্য হয় এবং তারা মানুষের উপকারের বিনিময় কৃতজ্ঞ আচরণ করে না।

এরপর রাসুল (সা.) বিষয়টি আরো খোলাসা করে বললেন, দেখো, তুমি যদি কোনো নারীর সঙ্গে সারাজীবন ভালো ও উত্তম ব্যবহার করো এবং তার সব চাহিদা পূরণ করো আর মাত্র একবার সামান্য বিপরীত আচরণ করো, তাহলে তারা বলবে, সারাজীবন তোমার থেকে অবহেলা আর দুর্ব্যবহারই পেয়ে এসেছি, কখনো ভালো কিছু পাইনি। বুখারি ও মুসলিম।

Manual6 Ad Code

Ad

Follow for More!