সাহরি ও ইফতারের পূর্বমুহূর্ত দোয়া কবুলের সময়।

প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২২

সাহরি ও ইফতারের পূর্বমুহূর্ত দোয়া কবুলের সময়।
booked.net
Manual5 Ad Code

সাহরি ও ইফতারের পূর্বমুহূর্ত দোয়া কবুলের সময়। বিশেষ করে ইফতারের সময়টি রোজাদারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, …আর সিয়াম পালনকারীদের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। এর মাধ্যমে সে অনাবিল আনন্দ লাভ করে। একটি হলো যখন সে ইফতার করে তখন ইফতারির মাধ্যমে আনন্দ পায় আর দ্বিতীয়টি হলো যখন সে তার প্রভুর সঙ্গে মিলিত হবে তখন সে তার সিয়ামের জন্য আনন্দিত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৯৬)

Manual2 Ad Code

তাই সাহরি-ইফতারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে মহান আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকা উচিত, বেশি বেশি দোয়া-ইস্তিগফার করা উচিত। এই সময়গুলোতে এমন কাজে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়, যা এই মহতি ইবাদতের মহিমা ক্ষুণ্ন করে।

Manual6 Ad Code

অনেকে আছে, ইফতার সামনে নিয়ে সেলফি কিংবা ফটোসেশনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সাধারণত নিজের কর্মগুলো প্রদর্শনের জন্যই ছবি তোলা হয়, যা অনর্থক কাজ। ইসলাম কোনো অনর্থক কাজই সমর্থন করে না। উপরন্তু প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত করলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। কারণ প্রতিটি ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হলো, তা শুধু আল্লাহর জন্যই হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি লোক দেখানো ইবাদত করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার লোক দেখানো উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৯৯)

Manual2 Ad Code

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, সাহরি ও ইফতারের ছবি তুলে তা ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার মাধ্যমে শুধু কয়েকটি লাইক শেয়ারই তার প্রতিদান হিসেবে পাওয়া যাবে, আর কিছু নয়।

Manual6 Ad Code

সাহরির সময়টি হলো তাহাজ্জুদের সময়। সে সময় দোয়া কবুল হয়। আবার ইফতারের সময়ও দোয়া কবুল হওয়ার কথা আছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদার যখন ইফতার করে, ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, ৩. মজলুমের দোয়া। মজলুম ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং এ জন্য আসমানের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব, যদিও তা কিছুকাল পরে হয়।’  (তিরমিজি, হাদিস  : ৩৫৯৮)

উল্লেখিত সুসংবাদের প্রথম কাতারের লোকরাই হচ্ছেন রোজাদার। তাই রোজাদারদের এমন কোনো কাজ করা কাম্য নয়, যা তাঁদের প্রাপ্য বস্তু থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

Ad

Follow for More!