যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সমুহ।

প্রকাশিত: ১:৫৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২২

যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সমুহ।
booked.net
Manual1 Ad Code

দৈহিক ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ, ঠিক তেমনিভাবে আর্থিক ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যাকাত। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ৮২ স্থানে নামাজের সাথে সাথে যাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন। এটি আদায়ের মাধ্যমে শুধু মালের পবিত্রতা অর্জনই নয়। যাকাত প্রদানের ফলে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিবিধ উপকার হয়।

হজরত আবু আইয়ুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, ‘আপনি আমাকে এমন একটি কাজ সম্পর্কে অবহিত করুন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। তিনি বলেন, তার কী হয়েছে? তার কী হয়েছে? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বললেন, তার বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, যাকাত দেবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখবে। (বুখারি)

Manual5 Ad Code

যাকাত ফরজ হওয়ার শর্তসমূহঃ- ১.নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হওয়া। অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ, বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা,কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের নগদ টাকা বা ব্যবসার মালের মালিক হওয়া।

Manual8 Ad Code

২. মুসলমান হওয়া। কাফেরের উপর যাকাত ফরজ নয়।
৩. বালেগ হওয়া। নাবালেগের উপর যাকাত ফরজ নয়।
৪. জ্ঞানী ও বিবেক সম্পন্ন হওয়া। সর্বদা যে পাগল থাকে তার নেসাব পরিমাণ মাল থাকলেও তার উপর যাকাত ফরজ নয়।
৫. স্বাধীন বা মুক্ত হওয়া। দাস-দাসীর উপর যাকাত ফরজ নয়।
৬. মালের উপর পূর্ণ মালিকানা থাকা। অসম্পূর্ণ মালিকানার উপর যাকাত ফরজ হয় না।
৭. নেসাব পরিমাণ মাল নিত্য প্রয়োজনীয় সম্পদের অতিরিক্ত হওয়া
৮. নেসাব পরিমাণ মালের উপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া।
৯. মাল বর্ধনশীল হওয়া। যাকাতের ফজিলত, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যা কিছু (আল্লাহর রাস্তায়) ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দান করবেন। আর তিনিই উত্তম রিজিকদাতা (সুরা সাবা,আয়াত:৩৯)। হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. বলেন নবী কারিম (সা.) বলেছেন, দান আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে এবং অপমৃত্যু রোধ করে।

Manual1 Ad Code

Ad

Follow for More!