প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
আব্দুল কুদ্দুসঃ- কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন আমানীপুর পার্ক। সুসজ্জিত পার্কটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি বিনোদনের জন্য চমৎকার ও নজরকাড়া একটি স্থান। শিশু-কিশোর দের নির্মল আনন্দের জন্য পার্কটিকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙিকে। তাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রাইড। পার্কটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঢল নামে। সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেখা যায় এই পার্কে।
কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি ৩ একর জমির উপর পার্কটি গড়ে উঠে। এর প্রতিষ্ঠাতা বিচারপতি সৈয়দ মিসবাহ্ উদ্দিন হোসেন। শুরুতেই মহামারী করোনার প্রভাবে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। বর্তমানে পার্কে শিশু-কিশোরদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু আকর্ষণীয় রাইড সংযোজন করা হয়েছে। পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই প্রচারনায় স্থানীয় সহ বৃহত্তর সিলেটের বিনোদন প্রেমী মানুষের সাড়া মিলে।
সিলেট-আখাউড়া রেললাইন ঘেঁষে টিলাগাঁও ইউনিয়নের আমানীপুর গ্রামে গড়ে ওঠা পার্কটি প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের বিনোদনের জন্য সুন্দর একটি জায়গা। এখানকার পরিবেশও মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে পার্কে দাঁড়িয়ে গোধূলি সন্ধ্যার দৃশ্য অত্যন্ত চমৎকার।
কুলাউড়া উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে পৃথিমপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত রবিরবাজার। রবিরবাজার ঢোকার আগেই পশ্চিম দিকে আমানীপুর পার্কে যাওয়ার রাস্তার দূরত্ব প্রায় দেড় থেকে দুই কিঃমিঃ। তাছাড়া রবিরবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে বাংলাবাজার হয়েও আমানীপুর পার্কে প্রবেশ করা যায়। পাশাপাশি টিলাগাঁও বাজার কিংবা লালপুর নয়াবাজার হয়েও আমানীপুর পার্কে সহজে যাওয়া যাবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পার্কে শুধু শিশু-কিশোরই নন, সব বয়সী মানুষ আনন্দে সময় কাটাতে আসেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে পার্কটি উপজেলার দর্শনীয় একটি স্থান হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। পার্কে রয়েছে বিভিন্ন ফল-ফুল, গাছ-পালার বাগান। দুপাশে ফুলের গাছ রোপণের মাধ্যমে হাঁটার জন্য মনোমুগ্ধকর পথ রাখা হয়েছে। পুকুরে ভেসে বেড়ানোর স্পিডবোট। রাস্তার পাশে বসানো হয়েছে ছোট ছোট বেঞ্চ। রয়েছে ছোট ছোট দৃষ্টিনন্দন ঘর। সেখানে সন্ধ্যার পর জ্বলে ওঠে বিভিন্ন ধরনের বাতি। শিশুদের খেলাধুলা ও আনন্দ-বিনোদনের জন্য দোলনা, ঘূর্ণায়মান চর্কা, ট্রেন, বোট সহ আরও রয়েছে নানা উপকরণ। সব মিলে উপজেলার একমাত্র বড় একটি বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নিয়েছে পার্কটি। একই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়ও।
পার্কে ঘুরতে আসা রুবেল আহমদ বলেন, পার্কের পাশেই আমার গ্রাম। এখানে আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা মিলে ঘুরতে এসেছি। ভালোই লাগছে। গ্রামের পাশে পার্ক। বিকেল হলেই পার্কটিতে বিনোদন ও ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় জমে উঠে। অবসরে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই ঘুরতে আসেন। দর্শনার্থীরা জানান, কুলাউড়ায় বিনোদনের ভালো জায়গা ছিল না। পার্কটি অল্প দিনে বেশ সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ছুটির দিনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ভিড় জমে উঠে। এদিকে সকলের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত সেখানে ভালো পরিবেশ রয়েছে বলে দাবী পার্ক কর্তৃপক্ষের। আর পার্কে এমন পরিবেশ বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষ সবসময় বদ্ধপরিকর।
ছবিঃ-টিলাগাঁওয়ে দৃষ্টিনন্দন আমানীপুর পার্কে আগত দর্শনার্থী।
PUBLISHED FROM
2152-B WESTCHESTER AVE BRONX
NEW YORK 10462 USA
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum Mintu
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us