নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ- কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মনবাজারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দরিদ্র পরিবারের এক কলেজ ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুহিবুর রহমান। তিনি কুলাউড়া উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী কুলাউড়া থানা ও মৌলভীবাজার নারী-শিশু আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের হিঙ্গাজিয়া থামার পার গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার পুত্র কুলাউড়া উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান ২০২০ সাল থেকে একই এলাকার দরিদ্র কলেজ পড়ুযা মেয়ে (২৬) কে প্রেম নিবেদন করে আসছেন। মুহিবুর ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও স্ত্রী সন্তান থাকায় ওই ছাত্রী প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করে আসছিলো। একপর্যায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মুহিবুর।

দীর্ঘদিন পর ধর্ষিতা ওই কলেজ ছাত্রী বিয়ের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বার বার চাপ সৃষ্টি করলে মুহিবুর নানা টালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি আচ করতে পেরে কলেজ ছাত্রী ২৯ মে দুপুরে মুহিবুর কে স্থানীয় বাজারে পেয়ে তার বিয়ের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জোর দাবী জানালে মুহিবুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন কলেজ ছাত্রী কে বেধড়ক পিঠিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে নির্যাতিত ছাত্রী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ওযানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে গত ৩১ মে কুলাউড়া থানায় মুহিবুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন।

পরের দিন ০১ জুন বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে মুহিবুরের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা (নং-৩০০/২০২৩) দায়ের করা হয়।

নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী জানান, মুহিবুর রহমান মামলা তুলে নেয়ার জন্য বার বার তাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন এবং তিনি ও তার পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস ছালেক জানান, কলেজ ছাত্রী মুহিবুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছেন যা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।