কুলাউড়ায় বেলা’র প্রতিনিধিদলের কাঁকড়াছড়া পুঞ্জি পরিদর্শন

প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২১

কুলাউড়ায় বেলা’র প্রতিনিধিদলের কাঁকড়াছড়া পুঞ্জি পরিদর্শন
booked.net

Manual7 Ad Code

আব্দুল কুদ্দুসঃ কুলাউড়ার কাঁকড়াছড়া পানপুঞ্জির বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল লয়্যারস্ এসোসিয়েশন (বেলা) সিলেটের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার (২৯ মে) পুঞ্জির জুম এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন- বেলা সিলেটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর তাহমিনা ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি, সুজন সদস্য সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ও বেলার ফিল্ড অফিসার আল আমিন সরদার প্রমুখ।

পুঞ্জি ও জুম পরিদর্শন শেষে বেলা’র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দুপুর ২টায় পুঞ্জিবাসীর সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন। এসময় পুঞ্জিবাসী প্রতিনিধিদলের কাছে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

Manual3 Ad Code

Manual7 Ad Code

[  জিয়াউর রহমানের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ]

Manual1 Ad Code

বেলা’র সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন- আদিবাসী, বন এবং পান চাষ একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বন এবং পান চাষের উপর মূলত আদিবাসীরা ঠিকে থাকে। বন বাঁচলে আদিবাসীরা বাঁচবে। বনের সাথে তাদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।

কাঁকড়াছড়ায় একসাথে এত গাছকাটা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এটা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

Manual1 Ad Code

তিনি বলেন- পুঞ্জিবাসী প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছে, রেহেনা চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জায়গাটি সাব-লিজ দিয়েছে। বর্তমানে পুঞ্জি থেকে তাদের বের হওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে রেখেছে। রাস্তা বন্ধ করাটা ঠিক হয়নি।

কবরস্থানেও বাগান কর্তৃপক্ষ চা গাছ লাগিয়েছে; এটাও একটি অমানবিক কাজ। তিনি আরো বলেন, একটা বিষয় লক্ষণীয় রেহেনা চা বাগান কাঁকড়াছড়া পানপুঞ্জিকে সাব-লিজ দিয়েছে।

২০১৩ সালে সাব-লিজের মেয়াদ শেষ হবার পর থেকেই গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে চায়ের চারা রোপন করছে। দেশের প্রচলিত আইনে সাব-লিজের কোনো বিধান নেই।বেলা

তাছাড়া পুঞ্জিবাসী জানিয়েছে; কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় তাদেরকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। শাহ সাহেদা আক্তার আরো বলেন, এটা একেবারেই অবিবেচক ও অমানবিক।

যেখানে পুঞ্জিবাসীর জীবীকার একমাত্র অবলম্বন গাছ; সেখানে নির্বিচারে গাছ কেটে শুধু পরিবেশের ক্ষতিই করা হয়নি, পুঞ্জিবাসীর জীবন জীবিকার উপর আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া ইজারাদাতা কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসনও যথাযত পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে তিনি জানান।

Ad

Follow for More!